ব্যবসা করার টিপস ব্যবসায়িক গঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা পেছনে মানুষের কতিপয়
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উদ্দেশ্য জড়িত থাকে। তবে ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে
মুনাফা অর্জন। এবং সাধারন অর্থ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য
ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কাজকে ব্যবসা বলা হয়।
অর্থাৎ স্বল্পমূল্যে পূর্ণ দ্রব্য
কয় করে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যে বিক্রয় করাকে কার্যকরী ব্যবসায়ী বলা হয়। এই
আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে দেখানো হবে ব্যবসা করার টিপস। এবং কি করে একটি কার্যকরী
ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব।
ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে জানার আগে আপনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং
ব্যবসা করতে হলে কি কি প্রয়োজন কি কি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সেই সম্পর্কে আগে
আপনাকে ধারণা নিতে হবে।এবং উদাহরণস্বরূপ অন্য উত্তোলন উপাদান বন্টন পরিবহন
গুদামজাতকরণ, প্রত্যক্ষ ও পরক্কর সেবা প্রধান ইত্যাদি সবই মানুষ অর্থ উপাদানের
জন্য করে থাকে। এই সকল বিষয়গুলো প্রথমে আপনাকে দেখে নিতে হবে এবং এটি একটি
কার্যাবলী ব্যবসায়ের সহায়ক শক্তি। অতএব ব্যবসা বৈধভাবে অর্থ উপার্জনের
উদ্দেশ্যে কিছু কার্যাবলী নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১। পণ্যদ্রব্য ও সেবাক্রম উৎপাদন
২। উৎপাদিত পণ্য দ্রব্যের বন্টন
৩। উৎপাদন ও বন্টনের সহায়ক কার্যক্রম
৪। প্রত্যক্ষ সেবা করুন
সুতরাং ব্যবসা করার টিপস গুলোতে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রকৃতির সম্পদ
আহরণ রূপান্তর করন ও বাজারজাতকরণের পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিম্নিতে এদের
পরিবর্তন ইত্যাদির মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পর্ন ও সেবাক্রম পৌঁছে দেবার যাবতীয়
কার্যাবলী কে ব্যবসা বলে। অতএব অভাব পূরণের প্রয়জনে পর্ণ ও সেবা উৎপাদন, বন্টন
এবং বন্টনের সহায়ক যাবতীয় কার্যাবলী ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত। এক কথায়
উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করতে শুরু করে অন্য বাসেবা ভক্তের হাতে
পৌঁছানোর পর্যন্ত সকল কার্যাবলী ব্যবধায়ের অন্তর্ভুক্ত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে
ব্যবসায় আয়ত্বকে প্রদান প্রধানত শিল্প বাণিজ্য, শিল্প কার্যাবলী এবং
প্রত্যক্ষ সেবা ও চারটি শ্রেণীতে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে
ব্যবসায় আয়ত্ব ব্যবসা প্রকারভেদ হিসেবে বিবেচিত হয় নিচে ব্যবসায়ের
অন্তর্ভুক্ত এবং বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
শিল্প(industry):শিল্প ব্যবসা উৎপাদন কার্যের সাথে জড়িত। পণ্য উৎপাদনের
যাবতীয় কার্যাবলীকে শিল্প বলা হয়। শিল্পের সমুদয় কার্যাবলী ব্যবসার
অন্তর্ভুক্ত। শিল্পকে আবার কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।
১। প্রজনন শিল্পঃ প্রজনন প্রক্রিয়ার সম্পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে
প্রজনন শিল্প বলে। যেমন-গাছ-গাছড়ার চারা আবাদ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন
ইত্যাদি প্রজনন শিল্পের অন্তর্গত।
২।নিষ্কাশন শিল্পঃ প্রকৃতিক সম্পদ এর মাধ্যমে রূপগত উপযোগ সৃষ্টি
করাকে নিষ্কাশন শিল্প বলে। যেমন-মৎস্য শিকার-খনিজ সম্পদ উত্তোলন ইত্যাদি।
৩। নির্মাণ শিল্পঃ বাসগৃহ, রাস্তাঘাট, সেতু বাদ রেলপথ প্রভৃতি নির্মাণ কাজে
নিযুক্ত শিল্প হল নির্মাণ শিল্প।
৪।উপাদান শিল্পঃ কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে রূপগত উপযোগ সৃষ্টির
মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারকারীর করে তোলা উপাদানশিল্পককে বা শিল্পের কাজকে। এ
যান্ত্রিক শিল্প বলা হয়।
৫। সেবা পরিবেশক শিল্পঃ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য যে
শিল্প নিয়োজিত থাকে তাকে সেবা পরিবেশক শিল্প বলে। যেমন-বিদ্যুৎ গ্যাস
পানি টেলিফোন ইত্যাদি বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসা করার টিপস গুলো আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন এবং যেকোনো দেশে ব্যবসা
অর্থনীতি কাঠামোর অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে কাজ করাতে পারেন। অসামাজিক
উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীমা।
ব্যবসা করার টিপস-অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়
অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় অনেকগুলো রয়েছে। এবং এখান থেকে বাজারজাতকরণের
পরিবহনে গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণাটাও পেয়ে যাবেন। বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে পরিবহনের
গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই
দিকগুলো খেয়াল রাখতে হবে। অন্য সামগ্রী যে স্থানে উৎপাদিত হয় সেই স্থানে
শুধুমাত্র তার ভোগ-সম্পন্ন হয় না। যেখানে সামগ্রিক উৎপাদিত হয় না পরিবহনের
মাধ্যমে সেখানে পণ্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। মানুষের কাছে কে বলে
বেড়ানোর মতো সময় থাকে না। সেখানে একমাত্র রাস্তা খোলা থাকে অনলাইন আপনি বিভিন্ন
উপায়ে অনলাইনে। আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসায় লাভবান হতে
পারেন।
এছাড়াও অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে সাধারণ অর্থে বাজার হচ্ছে
কোন অন্য বর্তমানে কোন ডেট অথবা সস্ত্রাব্য ক্ষেত্র সমষ্টি হচ্ছে কিনা সেটা
খেয়াল রাখা। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ফলে একটি ক্রেতা বিজ্ঞাপন দেখার পরে
আপনার পণ্যটি ক্রয় করার মাধ্যমে যতক্ষণ না ভোক্তার হাতে পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ
পর্যন্ত উৎপাদনের কাজ শেষ হয় না। সুতরাং অনলাইনে অর্ডার দেওয়া ক্রেতার পণ্যটি
যতক্ষণ না ক্রেতার কাছে না পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ পন্যটির গুরুত্ব এবং
দেখভাল করার দায়িত্ব আপনার।
অনলাইন ব্যবসায়ী সফল হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং
অন্যান্য টিপস গুলোর মধ্যে ব্যবসায়ের পণ্য সামগ্রী মালিকানা উৎপাদকের নিকট থেকে
ব্যবহার করে নিকট হস্তান্তর করা। এবং অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসা সংক্রান্ত
ঝুঁকি হস্তান্তরিত অন্য বহনকারী কিংবা ব্যবসায় পরিচালনা কারি নিকট্যে যে
টিপস গুলো দেয়া হলো সেগুলোর মধ্যে থেকে অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার
উপায় কয়টি নিচে দেওয়া হলোঃ
১।মার্কেটিং প্রফিটঃ ব্যবসার মূল বিনিয়োগ করে নিজ শ্রম ও মেধা দিয়ে
ব্যবসা গঠন ও পরিচালনা করে শুধু অধিক অর্থ লাভের আশায়। ব্যবসায়ীর প্রধান লক্ষ।
মুনাফা অর্জন ব্যতীত কোন ব্যবসায়ী পরিচালিত হতে পারে না।
২।মূলধন বিনিয়োগঃ ব্যবসায়ী প্রথম নিজের সঞ্চিত মূলধন ছাড়াও সারা দেশের
বিক্ষোপটে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যাংকিং ব্যাজার মাধ্যমে একত্রিত
করে মূলধন গঠন করে। এতে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী হতে শুরু করে অন্য বাসেবার ভোটটা
পর্যন্ত উপকৃত হয়ে থাকেন।
৩।ইনভেসমেন্টঃ লক্ষ্য কে সামনে রেখে একজন ব্যবসায়ী জনগণের চাহিদা
অনুযায়ী নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের ব্যবস্থা করেন। ফলে এটি সমাজের প্রয়োজনের
তালিকায় একটি বিশেষ সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
৪।কর্মসংস্থানঃ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা
নিজেদের এবং সমাজবদ্ধ অন্যান্য বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে।
এতে দেশের বেকার ও অদক্ষ লোকজন সুদক্ষ হয়ে ওঠে এবং দেশের জন্য তারা উৎপাদন
কাজে অংশ নিতে পারে।
৫। ক্রয় বিক্রয় কার্যঃ ব্যবসায় বাণিজ্যের একটি অন্যতম শাখা। এর কাজ হল
প্রকৃত উৎপাদনকারী নিকট হতে পণ্য দ্রব্য কয় করে চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট বিক্রয়
করা। বাণিজ্য ব্যবসায়ী কার্যের দ্বারা পন্য বন্টন ক্ষেত্রে দৃষ্টির সকল
ব্যক্তিগত বাধা অপসারণ করে।
গ্রামে অনলাইন ব্যবসা-অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামে অনলাইন ব্যবসা করার জন্য জন্য বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগগুলি
অবলম্বন করে আপনি চাইলে গ্রামাঞ্চলে অনলাইন ব্যবসা করতে পারেন গ্রামে অনলাইন
ব্যবসা করার জন্য যে সকল সহজ সুযোগ গুলো রয়েছে কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো।
১। প্রচুর কাঁচামাল ও শিল্পের সুবিধাঃ গ্রামের মানুষেরা প্রচুর কাঁচামাল
উৎপাদন করে থাকেন,যেমন কৃষি পণ্য হস্তশিল্প সামগ্রী ইত্যাদি। অনলাইন ব্যবসার
মাধ্যমে তারা সহজে এই পণ্যগুলোর বাজারজাতকরণ করতে পারেন। কিসে পড়লো যেমন মৌসুমী
ফলমূল মধু দুধ ইত্যাদি অনলাইনে বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় করতে পারন।
২। দক্ষতা ও প্রতিভার ব্যবহারঃ অনেক গ্রামীণ মানুষ হস্তশিল্প সেলাই
জাপানিজ ভাস্কর্য ইত্যাদিতে পারদর্শী। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তারা এই
দক্ষতা গুলোর মাধ্যমে পর্ন উৎপাদন করতে এবং বিক্রি করতে পারেন। যেমন কাপড়ের তৈরি
মালা বিছানো চাদর অথবা বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পান।
৩। উন্নত মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মঃ সামাজিক মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও
এপস ব্যবহার করে গ্রামীন উদ্যোক্তারা তাদের অন্যকে বৃহত্তর দর্শনের কাছে পৌঁছে
দিতে পারেন। ফেসবুক instagram ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে তারা সরাসরি
গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনি চাইলে গ্রামে অনলাইন ব্যবসা এবং এই অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন আশা করি আপনি এই আইডিয়াগুলো ব্যবহার করেন।
গ্রামে অনলাইন ব্যবসা খুব সুন্দর ভাবে দাঁড় করাতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন
ব্যবসার আইডিয়া অনুযায়ী আপনাকে অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন হতে
পারে এবং এতে অনেক সুবিধা ও অসুবিধা আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
অনলাইন ব্যবসা সুবিধা অসুবিধা-একমালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা
অনলাইন ব্যবসা সুবিধা অসুবিধা এগুলোর পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
গ্রামে ব্যবসা করার আগে অবশ্যই আপনাকে এগুলো জেনে নেওয়া উচিত আপনাকে প্রযুক্তি
শিক্ষা বিতরণ সমস্যা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি এগুলোর সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে।
সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১। ইন্সট্রাকচার ও প্রযুক্তিঃ গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের অভাব এবং
প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতা কম হতে পারে। ইন্টারনেটের গতি ধীর হওয়ার কারণে
অনলাইন কার্যক্রমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
২। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণঃ অনলাইন ব্যবসার জন্য প্রাথমিক দক্ষতা ও
প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। গ্রামের অনেকের প্রযুক্তি বিষয়ে জানেনা বা সেই বিষয়ে
প্রশিক্ষণ পাননি। তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কর্মসূচি ও সহায়তা প্রয়োজন।
৩। বিপণন ও বিতরণ সমস্যাঃ গ্রামের ব্যবসার বিপণন ও বিতরণ ব্যবস্থার অভাব
থাকতে পারে। পণ্য পৌঁছানোর প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে এবং রাউদের চাহিদা পূরণে
সমস্যা হতে পারে।
অনলাইন ব্যবসা সুবিধা অসুবিধা এবং একমালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা,
অনুযায়ী এই ধরনের সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হতে হতে পারে। এছাড়াও অনলাইন ব্যবসা
সুবিধা অসুবিধা কিছু দিক উপরে তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলে অনলাইন
ব্যবসা করতে গেলে। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ সুবিধা বুঝে নিয়ে যাবেন।
একমালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা,এক মালিকানা ব্যবসা এটি এমন একটি
ব্যবসায়ী কাঠামো যেখানে একটি এককব্যক্তি ব্যবসার মালিক এবং পরিচালনাকারী হিসেবে
কাজ করেন। এই ধরনের ব্যবসায়ের মালিক পুরোপুরি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে থাকেন এবং
সমস্ত লাভ বা ক্ষতির দায়িত্ব নিজের উপর নেয়। এখন আমরা আলোচনা করব একমালিকানা
ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা গুলোর দিক নিয়ে।
একমালিকানা ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা
সুবিধা
১। সহজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনাঃ এক মালিকানার ব্যবসার প্রতিষ্ঠা করা ও
পরিচালনা করা তুলনামূলকভাবে সহজ। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সাধারণত কম জটিল এবং
মালিকের কোন অফিসিয়াল অনুমোদন বা বিশেষ লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয় না। এতে কোন
জটিল প্রশাসনিক কাজও থাকে না।
২। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণঃব্যবসায় সমস্ত সিদ্ধান্ত একমাত্র মালিকের হাতে
থাকতে পারে। মালিক ব্যবসার দিকনির্দেশনা নীতি নির্ধারণ এবং কৌশলগুলি নিজের মতো
নির্ধারণ করতে পারে, যা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সহায়ক।
৩। লাভের পূর্ণ অধিকারঃ এক মালিকানা ব্যবসার সমস্ত লাভ মালিকের নিজস্ব
হয়। ব্যবসার মুনাফা তার ব্যক্তিগত আয়ের যোগ হয় এবং কোন শেয়ার বা ভাগাভাগির
প্রয়োজন হয় না।
৪। কর সুবিধাঃএক মালিকানার ব্যবসার উপর করের বোঝা সাধারণত তুলনামূলকভাবে
কম। ব্যবসার লাভ অন্তর্ভুক্ত হয় এবং তাই কর দেওয়ার সময় সাধারণত সহজ হয়।
৫। লোশনীয়তা ও সঞ্চয়তাঃ ব্যবসার পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা ও রতনতা
থাকে। মালিক নিজের সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে পারেন এবং ব্যবসায়িক নেটের
পরিবর্তন করতে পারেন।
এতক্ষণ আমরা কথা বললাম এক মালিকানা ব্যবসার সুবিধা গুলো নিয়ে। এক মালিকানা
ব্যবসায় সুবিধা যতটা বেশি অসুবিধা ততটাই বেশি। এক মালিকানা ব্যবসা করার
আগে আপনার অসুবিধা গুলো সম্পর্ক ধারণা থাকতে হবে যেন আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়
কোন সমস্যা না হয় চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
অসুবিধা
১। সীমিত সম্পদঃ এক মালিকানা ব্যবসায়ের মূলধন ও সম্পদের অভাব হতে পারে।
মালিকের নিজস্ব তহবিল বা ঋণী প্রধান উৎস থাকে। যা ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের বাধা
সৃষ্টি করতে পারে।
২। সীমিত দক্ষতাঃ একজন একক মালিক সব ধরনের দক্ষতার অধিকারী নাও হতে
পারে। ব্যবসার বিভিন্ন দিক যেমন হিসাবের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, বিপণন বা মানবসম্পদ
ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে।
৩। অযাচিত ঝুঁকিঃ এক মালিকানা ব্যবসায়ের মালিকদের সমস্ত ব্যক্তিগত
সম্পত্তি ব্যবসার ঋণ বা ক্ষতির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতির
ফলে ব্যক্তিগত অর্থনীতি নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে।
৪। সফলতা অর্জন কঠিনঃ একক ব্যক্তির হিসেবে ব্যবসার সফল্য অর্জন কঠিন হতে
পারে। বিশেষ করে বড় আকারের ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে।
প্রয়োজনীয় বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করার জন্য সহায়ক অংশীদার দলের
অভাব থাকতে পারে।
৫। জীবনব্যাপী সংকটঃ এক মালিকানার ব্যবসা সমস্ত দায়িত্ব এবং ঝুঁকি একক
মালিকের উপর থাকে। মালিক অসুস্থ হলে বা অন্য কোন কারণে ব্যবসা পরিচালনা করতে না
পারলে ব্যবসায়ীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে থাকতে পারে।
এক মালিকানা ব্যবসা শুরু করার সময় ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং পরিচালনার সহায়তা
একটি বড় সুবিধা। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসার সাফল্য এবং স্থানীয়দের জন্য
কিছু ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে এই সুবিধা
ও অসুবিধা গুলি বিবেচনা রাখা অতি গুরুত্বপূর্ন। এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত
পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা একটি ব্যবসা সংগঠন এবং তার অভ্যন্তরীণ
কাঠামো। এটি নির্ধারণ করে কিভাবে ব্যবসার সদস্যরা সম্পদ এবং কার্যক্রম একত্রিত
হবে। ব্যবসার গঠনের প্রধান ধরন গুলি হল।এক মালিকানা ব্যবসা অংশীদারী ব্যবসা
কোম্পানি মিশ্রণ গঠন। ব্যবসার সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা এমন একটি গঠন যেখানে একটি
ব্যক্তিসম্পন্ন ব্যবসার মৌলিক একটি সহজ ও কম খরচে গঠিত হয় এবং মালিক নিজেই
সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
উদাহরণস্বরূপ স্থানীয় দোকান বা freelance ব্যবসা এ ধরনের হতে পারে। একক
মালিকানার ব্যবসার সুবিধা হল এর সহজ গঠন এবং পুরোপুরি মালিকানার সুবিধা তবে এর
কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেমন সীমিত অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং মালিকের ব্যক্তিগত
দায়িত্ব।
এছাড়াও রয়েছে কোম্পানি কোম্পানি একটি আইনি সত্তা যা শেয়ারহোল্ডারের দ্বারা
পরিচালিত হয়। এটি শেয়ারের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের
দায়িত্ব সীমাবদ্ধ হয়। কোম্পানির প্রধান প্রকার গুলি হল প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানি এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। সুবিধা হলো এটি বৃহত্তর মূলধন সংগ্রহের
সুযোগ দেয় এবং মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সুরক্ষিত রাখতে তবে এর জটিলতা ও
খরচ বেশি হতে পারে।
অংশীদারী ব্যবসা
অংশীদারী ব্যবসা দুই বা তথাক ব্যক্তি একত্রে ব্যবসা পরিচালনা করেন। এই ব্যবসার
অংশীদার লাভ ক্ষতি এবং দায়িত্ব ভাগাভাগি করেন। অংশীদারি ব্যবসা এটি সাধারণত
পারিবারিক ব্যবসা অথবা ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে দেখা যায়। অংশীদারি ব্যবসার সুবিধা
হল আরো বেশি অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং যৌথ দক্ষতার সুযোগ। তবে এর কিছু সমস্যা হতে
পারে যেমন অংশীদারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং দায়িত্বের অস্পষ্টতা।
এছাড়াও রয়েছে মিশ্রণ গঠন, এটি কাঠামো যা বিভিন্ন ব্যবসায়ী কাঠামোকে একত্রিত
করে। উদাহরণস্বরূপ যৌথ কোম্পানির এবং পার্টনারশিপের মিশ্রণ হতে পারে। এটি
বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় যখন বিভিন্ন ব্যবসায়িক পরিবেশে একত্রিত হওয়ার প্রয়োজন
হয়।
এছাড়াও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মল্লিক উপাদান গুলি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা এবং
পরিকল্পনা সংগঠন নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া। এটি ব্যবসার কার্যক্রম
কে কার্যক্রম ভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।এছাড়াও ব্যবসায়ের পরিকল্পনা
সবাই মিলে নিতে পারে। কিন্তু এর মাঝে বিপুল পরিমাণ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে
যেমন সবার সমস্যার সহমত এক নাও হতে পারে। প্রধান উপাদান গুলি হল পরিকল্পনা
সংগঠন এবং নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ এই কয়টা জিনিস মেনে চলতে পারলে অংশীদারী
ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা হলো ব্যবসার ভবিষ্যৎ লক্ষণ নির্ধারণ এবং সেগুলো অর্জনের
জন্য কৌশল তৈরি প্রক্রিয়া। এটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত এবং স্বল্প মেয়াদী
কার্যকরী কল্পনার মধ্যে সম্পন্ন হয়। পরিকল্পনার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত থাকে
লক্ষ্য নির্ধারণ কৌশল উন্নয়ন এবং কার্যক্রমে পদক্ষেপ । যেগুলো আপনাকে
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সাহায্য করে। পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার
লক্ষ্য অর্জনের সহায়তা এবং পূর্ব ভাষার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে
সাহায্য করে।
ব্যবসায়িক সংগঠন সম্পদ এবং মানুষ এবং কার্যক্রম সঠিকভাবে বিন্যাস প্রক্রিয়া ।
এটি অন্তর্ভুক্ত করে কাজের ভাগ্য বা ভাগ বাটোয়ারা দায়িত্বের নির্ধারণ এবং
প্রয়োজনীয়তা সম্পদ প্রদান। এটি সঠিক সংগঠন ব্যবসা ও কার্যকর গড়ে তোলে। এটি
নিশ্চিত করে যে প্রত্যেক সদস্য তাদের নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন সম্পাদন করছে এবং
ব্যবসা লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে।
ব্যবসার সফলতা এবং চ্যালেঞ্জ
ব্যবসার সফলতা এবং চ্যালেঞ্জ এটি এমন একটি ব্যবসায়ের সফলতা তার উপর নির্ভর
করে। যে গঠন ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা । সফল ব্যবসায়ের পরিচালনার জন্য কিছু মূল
কৌশল অবলম্বন করেন। যেমন বাজার গবেষণা আর্থিক পরিকল্পনা প্রযুক্তির ব্যবহার
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা আইনগত সংজ্ঞা ইত্যাদি।
বাজার গবেষণা জন্য এটি মল্লিক উপাদান। এটি বাজারের চাহিদা প্রতিযোগিতা এবং
গ্রাহকের চাহিদা বোঝার জন্য প্রয়োজনীয়। এটা সঠিক বাজার গবেষণা ব্যবসায়ী কৌশল
তৈরি করতে সাহায্য হয় এবং ব্যবসার সাফল্য করে।
আর্থিক পরিকল্পনাঃ আর্থিক পরিকল্পনা হলো ব্যবসার সম্পদ এবং খরচের
পরিচালনার প্রক্রিয়া এটি বাজেট তৈরি খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং বিনিয়োগের পরিকল্পনা
অন্তর্ভুক্ত করে। এটি একটি সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ব্যবসার স্থায়িত্ব
নিশ্চিত করে এবং আই বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
প্রযুক্তির ব্যবহারঃ প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন ব্যবসার উপর প্রভাব
ফেলে । আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে দ্রুতন্ত্র এবং
দক্ষতা করা সম্ভব। প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যবসার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং
সাহায্য হয় এবং নতুন বাজারের সুযোগ সৃষ্টি করে।
ব্যবসার সাথে জড়িত সকল টিপস নিয়ে আমার শেষ কথা
ব্যবসা গঠন ও ব্যবস্থাপনা একটি সকল প্রতিষ্ঠানের মৌলিক স্বাস্থ্য। এবং ব্যবসা
করার সকল টিপস নিয়ে এবং অনলাইন ব্যবসা সফল হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে যদি আপনার
কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন।
এবং ব্যবসায়িক গঠন ও ব্যবস্থাপনা চলমান প্রক্রিয়া এবং পরিবর্তনশীল ব্যবসায়ী
পরিবেশের সাথে সাথে সঠিক কৌশল গ্রহণ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা একটি প্রতিষ্ঠানের
জন্য অমল। অতএব আমার বলে দেওয়ার টিপস গুলো আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন আশা
করি এই ধারণা গলির প্রতি মনোযোগ দিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব এবং
এই টেকনিক্স প্রতিষ্ঠানের জন্য সঠিক পথ নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। নিত্য নতুন জিনিস পেতে 24
ঘন্টা চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। নতুন পোস্ট আসার আগে পর্যন্ত ভালো থাকুন
সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url