মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো


মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ,শিখতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর মৌলিক ধারণা এবং কিভাবে এটি কাজ করে তা বোঝার প্রয়োজন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোঅনলাইন জগতে ফ্রিল্যান্সিং করার মত অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব, কিভাবে আপনি খুব সহজে একটি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো-এবং ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কি ফ্রিল্যান্সিং আসলে কিভাবে কাজ করে। আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর মৌলিক ধারণা এবং কিভাবে এটি কাজ করে তা বোঝার প্রয়োজন। আপনি স্টেপ বাই স্টেপ সবকিছু বুঝে গেলে ফ্রিল্যান্সিং করাটা আপনার কাছে খুব সোজা হয়ে দাঁড়াবে।

১। ফ্রিল্যান্সিং কিঃ ফ্রিল্যান্সিং হল স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা এবং ক্লাইন্টের জন্য সেবা প্রদান করা। এবং ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজের ধরন যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং সাধারণত বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত নিজেদের সময় এবং স্থান বেছে নিতে পারে এবং কাজের জন্য টাকা পায়।

২।ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সা্র, ইত্যাদি। এই প্লাটফর্ম গুলো মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজ খুঁজতে পারবেন। এবং এই প্লাটফর্ম গুলিতে আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলে খুব সহজে কাজ নিতে পারবেন। কিন্তু কাজ দেয়া নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা খুবই জরুরী, তা না হলে আপনি কাজ পেতেও পারেন নাও পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এর জন্য প্রস্তুতি

১। উপযুক্ত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করুন যেমনঃ
  • Fiverr, upwork, freelancer, এই প্ল্যাটফর্মগুলোর মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজ করতে পারবেন। এবং এই অ্যাপসগুলিতে বিভিন্ন ধরনের সেটিংস এবং কাজের ধরন গুলো প্রতিটি সহজ করে তোলা আপনি চাইলে খুব সহজেই। খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে কাজ করতে পারেন।
  • গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, ক্লাউড ষ্টোরেজ এই অ্যাপগুলিতে আপনি চাইলে খুব সহজে কাজ সংরক্ষণ এবং শেয়ার করে রাখতে পারবেন, সেই ক্ষেত্রে এই অ্যাপ গুলো আপনার কাজে লাগতে পারে।
  • Trello,asana, এই দুইটা অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প পরিচালনা ও কাজের অগ্রগতি ত্যাগ করতে ব্যবহার করুন। এতে আপনার কাজের গতি এবং কখন কোন নির্দিষ্ট কাজ করতে হবে। দুটি আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন।
২। স্কিল ডেভেলপমেন্টঃ
  • অনলাইন কোর্স আপনি চাইলেই অনলাইন জগতে যেকোনো আইটি সেন্টার অথবা Coursera,udemy,khan academy, এর মত অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন স্কেল শিখতে পারেন। এবং নিজে নিজেই নিজের স্কিলটাকে ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনার স্কিল অতি গুরুত্বপূর্ন
  • Youtube আপনি চাইলে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিও দেখে ইস্কেল উন্নত করতে পারেন। তবে ইউটিউব থেকে ভিডিও না দেখে আপনি চাইলে একটি আইটি সেন্টার থেকে। প্রফেশনাল ভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এতে আপনার স্কিল আরো ভালোভাবে ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো-এবং ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলিতে প্রথমত আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল টি যেন অবশ্যই ইনক লেভেলের হয়। প্রোফাইলটি ইউনিক করার জন্য আপনি আপনার স্কিল গুলোর প্রোফাইলে তুলে ধরুন, যেন ক্লাইন্টরা আপনার প্রোফাইল দেখলে আকর্ষিত হয় এবং আপনাকে কাজের জন্য অফার করে। এবং আকর্ষণীয় একটি প্রোফাইল পিক ব্যবহার করুন।

১। প্রোফাইল সেটআপঃনিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং কাজের উদাহরণসহ একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করুন। সঠিক ক্যাটাগরি এবং স্কিল সিলেক্ট করুন যাতে আপনার প্রোফাইলের লক্ষ্য বস্তু ক্লায়েন্টদের সামনে আসে।

২। প্রস্তাবনা লিখুনঃ গ্রাফদের জন্য প্রস্তাবনা লেখার সময় সুনির্দিষ্ট এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করুন। যেন ক্লাইন্টরা দেখে আকৃষ্ট হয়ে আপনার কাছে কাজের অফার নিয়ে আসে। এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রস্তাবনা সাজানো।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করা আপনার সফলতা চাবিকাঠি। আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারিত তুলে ধরে। যা ক্লাইন্টের  দের আপনার সাথে কাজ করতে উৎসাহিত করে। প্রোফাইল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন দিক সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করবো।
প্রথমে আপনার প্রোফাইল সেটাপের জন্য প্ল্যাটফর্মে লগইন করুন এবং প্রোফাইল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রোফাইল তৈরি করতে যে বিষয়গুলো বিবেচনা রাখতে হবে তা হলোঃ

১। ব্যক্তিগত তথ্যঃ আপনার নাম অবস্থান এবং যোগাযোগের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন। এই তথ্যের মাধ্যমে ক্লাইন্টরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। তাই সঠিক দিক বিবেচনা করে সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে একটি পেজ আপলোড করুন।
২। পেশাদার ছবিঃ একটি পরিষ্কার এবং প্রফেশনাল ছবি আপলোড করুন। এটি আপনার প্রথম ইনট্রেশন তৈরি করতে সাহায্য করবে। এতে আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে থেকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে তাই অবশ্যই একটি পেশাদার প্রফেশনাল ছবি আপলোড দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

প্রোফাইলের বর্ণনা

আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ও সঠিক বর্ণনা লিখুন। এতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাদারী অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ দক্ষতা গুলি উল্লেখ করুন। যেন আপনার ক্লাইন্টরা আপনার সম্পর্কে জানতে পেরে আপনার সাথে কাজ করার জন্য আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। এজন্য প্রোফাইলের বর্ণ নাই আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং আপনি কেন একজন ভালো প্ল্যানচার তা তুলে ধরতে হবে। 
  • উদাহরণস্বরূপঃ আমি একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক ডিজাইনার, ৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ডিজাইন শিল্পে কাজ করছি। আমি ব্যানার লোগো এবং ওয়েব ডিজাইনিংয়ে দক্ষ। আমার কাজের মাধ্যমে আমি গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এবং বিভিন্ন প্রকল্প সফলতা অর্জন করেছি।
ক্লাইন্টের সমস্যা সমাধানঃ ক্লাইন্টের সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন তা উল্লেখ করুন একটি ক্লায়েন্টের আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। এটি অবশ্যই আপনার সফলতার একটি দিক। এবং আপনার প্রোফাইল কে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের থেকে আলাদা করতে আপনার বিশেষ অ দক্ষতা তুলে ধরুন। উদাহরণস্বরূপঃ আপনি যদি এসিও বিশেষজ্ঞ হন তবে সেই দুঃখটাকে প্রোফাইলে বিশেষভাবে উল্লেখ করো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুবিধা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো,মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার অনেক সুবিধা রয়েছে। কারণ মোবাইল ফোন দিয়ে যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থানে শিক্ষা নেওয়া যায়। আপনার সুবিধা অসুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আপনি যেখানে সেখানে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। মোবাইলটি ফ্রিল্যান্সিং শেখার অন্যতম দিক হলো ব্যক্তিগত কারন। আপনি নিজের গতিতে শিখতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ফোকাস করতে পারেন। এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে অনেক সময় অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার হয় ্না। মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অতিরিক্ত খরচ না লাগাই এটি আরো সাশ্রয়ী হতে পারে।


তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিছু বিশেষ অ্যাপস এবং টুলস এর প্রয়োজন হয়। কোড এডিটর এবং প্লে স্টোরে পাওয়া অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে আর্টিকেল রাইটিং আপনার হাতের রাইটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য গুগল ডক্স ব্যবহার করুন। এছাড়াও আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতি মাসে টাকা ইনকাম করার জন্য, ব্লগার অ্যাপ ব্যবহার করুন এবং গুগল থেকে এন্ড চেঞ্জ এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে ইনকাম করুন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো-এবং নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো,মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য যে সকল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ ব্যবহার করে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর সাথে যুক্ত হওয়া যায়। যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, এই প্লাটফর্ম গুলির মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি নতুন কাজ খুঁজতে পারেন এবং ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
পেশাদার যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে লিংক ডিন এক ব্যবহার করুন। সম্পর্কিত গ্রুপে যোগ দিয়ে জ্ঞান এবং সুযোগ আদান প্রদান করতে পারেন।
এবং ফ্রান্সিং শেখার পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন ও করা গুরুত্বপূর্ণ।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছোট্ট ছোট্ট প্রকল্প গ্রহণ করুন তা আপনাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা দেবে। নিজেদের দক্ষতা উন্নত করতে নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন এবং নিজেদের কাজ কাজের প্রতিফলন তো তৈরি করুন। এতে আপনার কাজের দক্ষতা এবং কাজের স্কেল গুলো ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকবে। এবং আপনি কাজের পাশাপাশি রেগুলার প্র্যাকটিস করতে থাকুন, যেন আপনার কাজের স্কুলগুলো নষ্ট না হয়ে যায়। এমনভাবে রোজ কঠোর পরিশ্রম করতে থাকলে আপনার সফলতা নিশ্চিত। এবং সব সময় অনলাইনে অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করুন। যেন আপনি কোন ক্লায়েন্টের অফার মিস না করে যান। এবং কাজ পাওয়া মাত্রই খুব সুন্দর ভাবে সেটি করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এবং কাজ করার ক্ষেত্রে মনোযোগ অতি গুরুত্বপূর্ণ ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার পরামর্শ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার পরামর্শ
মোবাইল  ফোনের সাহায্যে সময় নির্ধারণ এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য শক্ত তালিকা তৈরি করুন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং সততা বজায় রাখুন। ক্লাইন্টের সাথে সঠিক যোগাযোগ এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। তা এবং প্রযুক্তির সাথে আপডেট থাকতে হবে। এবং আপনার কাছে আসা সকল ক্লায়েন্টের সাথে খুব সুন্দর ভাবে আচরণ ব্যবহার করুন। এটা আপনার ক্লায়েন্টের আপনার সাথে কাজ কর আগ্রহ বাড়বে এবং বারবার আপনাকে কাজ দিতে চাইবে। মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এখন একটি সহজ প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সি,মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস এবং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন নেটওয়ার্কিং এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব। সঠিকভাবে শেখা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপনি সফল একজন হতে পারেন নির্মল চর্চা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সব সময় কঠোর পরিশ্রম করা। এবং সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে অর্ডার জমা দেওয়ার। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এখন অনেক সহজ এবং ফোনের বিভিন্ন অ্যাপস এবং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা এবং কাজ করা সম্ভব। তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কোন একটি আইটি সেন্টার অথবা অনলাইন জায়গাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ধারণা নিতে পারেন। অথবা প্লে স্টোরে পাওয়া অনেকগুলো এর থেকেও আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন। এর সাথে আপনার কঠোর পরিশ্রম খুবই গুরুত্বপূর্ন।

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন, বর্তমানে ডিজিটাল যুগে আপনার হাতে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক ধরনের কাজ করা  সম্ভব। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় ও সুবিধাজনক উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং। এটি এমন একটি কাজ যা আপনি সহজে আপনার মোবাইলের ফোন দিয়ে করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে আপনি আয় করতে পারবেন। 

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করে বা flancing করে টাকা ইনকাম করতে চান। তবে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন আপনার সুবিধার্থে আমি মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করার জন্য নিচে কয়েকটি কাজের উপায় লিখে দিলাম।


মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুনঃ
  • Youtube (ইউটিউব)
  • Content writing (কনটেন রাইটিং)
  • Graphics Desing (গ্রাফিক ডিজাইনিং)
  • Bloging (ব্লগিং)
  • Web Desing (ওয়েব ডিজাইনিং)
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা এবং কনটেন্ট রাইটিং এটি খুব সহজ এবং সুবিধা জনক উপায়, অনলাইনে ইনকাম করার জন্য। এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন এবং সময় ও স্থান নির্বিশেষে কাজ করতে পারবেন। আপনার সঠিক কৌশল ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা আনতে পারবেন এবং একটি স্থায়ী আয়ের উচ্চ তৈরি করতে 

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান তাহলে এটি আপনার সবথেকে বড় এবং ভালো উদ্যোগ। মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই আপনার ওয়েবসাইট বা অনলাইন কন্টেন্ট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। মোবাইল অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করে যে আপনার ওয়েবসাইট সহজে মোবাইলের দেখা যায় এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার আলোচনা এখানে খুব সহজেই হয়ে উঠেছে। ফেসবুক instagram twitter এবং লিন্ডইং সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে আপনার ব্র্যান্ডের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে মোবাইল এর ব্যবহার করা যেতে পারে।

মোবাইল বিজ্ঞাপন এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়, গুগল এডসেন্স এবং ফেডবো ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে আপনি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। এটি বিশেষভাবে কার্যকরী কারণ এটি আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক শ্রোতার কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও মোবাইল দিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীরা অনেক সময় তাদের email মোবাইলের চেক করে থাকেন।

আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন। ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হলে এটি বেশি কার্যকরী হতে পারে। সহজে পড়া যায় এমন একটি ইমেইল এবং অ্যাকশন বাটন ব্যবহার করা উচত।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমে বুঝতে হবে কোন ধরনের কাস্টমারের কাছে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য ও আকর্ষণীয় কন্টেন্টের মাধ্যমে এই কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানো অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে এগুলো আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে আপনার সকল তথ্য জেনে রাখা উচিত।

বাংলাদেশের প্রায় ৯০% কোম্পানি এখন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করছে। যার ফলে তাদের বিক্রয় যথেষ্ট বেশি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করার উচিত এবং প্রয়োজনীয় কৌশল গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহঃ
  • ১। যেকোনো আকারের ব্যবসা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
  • ২। এটি খুবই কম খরচে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করতে সাহায্য করবে।
  • ৩। ঘরে বসে প্রচার করতে পারবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার প্রয়োজন নেই।
  • ৪। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার কোম্পানির ব্যান্ড তৈরি করা সহজ।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রথমে কি কি করা উচিত

নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ব্যাপারে জানার পরও কিভাবে শুরু করবেন বা কোন পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যে যোগ্যতাগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হলোঃ
  • ক্লাইন্ট এর সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা, বিশেষ করে ইংরেজিতে ভালো শিখতে পারা।
  • ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারনা, এবং যে কোন ডিভাইড সম্পর্কে ভালো ধারণা
  • গুগল ও ইউটিউবে ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করার দক্ষতা
পরবর্তী প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে শিখবেন। খুব সহজ আপাতত কোথাও যেতে হবে না। গুগল আর ইউটিউব হতে পারে আপনার দ্রুত শিক্ষক । যে বিষয়টি আপনাকে আগ্রহী করে তার উপর ভিডিও দেখুন গুগল সার্চ করুন এবং জানুন। যদি তারপরও কোন প্রশ্ন থাকে তবে আপনার পরিচিত বা আশেপাশের অভিজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কাজ পাওয়ার আগে বিষয়টি ভালোভাবে শিখতে হবে। আপনি যদি কাজ শেখার আগে কাজ পাওয়ার আশা করেন তবে আপনার ধারণা ভুল হতে পা্রে।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে কাজ করা। যেমন একজন চিকিৎসক তার চেম্বার এর কাজ করেন। আইনজীবী চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। বা সিনেমার অভিনয় শিল্পীরা নিজেদের সময় এবং পরিশ্রমিক নির্ধারণ করেন । একইভাবে যেকোনো পেশায় কেউ নিজের মত করে ক্যারিয়ার পরিচালনা  করলে তা ফ্রিল্যান্সিং। একজন মানুষ বোধশক্তি হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই । এখানে আপনার দক্ষতায় প্রধান দক্ষতা থাকলে শিক্ষাগত সদন গুরুত্ব স্থানীয় হতে পারে ।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন। এটি হতে পারে কনটেন্ট রাইটিং গ্রাফিক ডিজাইন ওয়েব ডিজাইনিং । ওয়েব ডেভেলপমেন্ট স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরি অথবা অন্যান্য নানা ক্ষেত্র । আপনি যে কাজে দক্ষ হন না কেন সেটা মনে রাখা জরুরি দক্ষাচাঁচারা বেশিদিন অনলাইন প্লাটফর্মে টিকে থাকা কঠিন । 

ধরি আপনার এমন একটি কম্পিউটার দোকানের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে যার কর্মীরা ভিডিও এডিটিং ও গ্রাফিক ডিজাইন জানে অথবা অন্য কোন বিশেষ কাজে জানেন । এদের থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ পেয়ে তাদের মাধ্যমে সে কাজ করে নিতে পারেন ।

যেমন ফ্রিল্যান্সিং সাইডে আপনি কোন ভিডিও এডিটিং কাজের জন্য দুদিনের মাধ্যমে ২০০০ টাকা অফার করেছেন এবং সে কাজটি আপনার অন্য কাউকে নিলেন তাহলে আপনার 500 টাকা লাভ হবে । এভাবে আপনি মোবাইল ব্যবহার করে আয় করতে পারেন ।

তবে যে কাজী আপনি করেন না কেন তার সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকা জরুরি । যাতে কাজের কোন সমস্যা হলে আপনি বুঝতে পারেন । এবং তৎক্ষণাৎ আপনি সেটির সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন । অবশ্যই আপনি আমার কথাগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার শেষ কথা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার যে সকল দক্ষতার প্রয়োজন বা আপনার যে সকল জিনিসপত্রের ওপর ধারণা প্রয়োজন। উপরে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে । আপনার যদি এই আর্টিকেলটি নিয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন । অথবা আমাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন ।

নিত্য নতুন পোস্ট পেতে এবং নতুন নতুন টিপস সম্পর্কে ধারণা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের চোখ রাখুন 24 ঘন্টা। আশা করি আবারো দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে । ততদিন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url