পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় পাইলস একটি সাধারণ এবং বেশ বিরক্তিকর সমস্যা, যা অনেক মানুষের জীবনে বিশাল
অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। পাইলসের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেমন
চুলকানি, ব্যথ্ রক্তপাত, এবং
অস্বস্তি। তবে এর থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আর্টিকেলে
আমরা পায়েস থেকে চিরতরে মুক্তির বিভিন্ন উপায়ে এবং তাদের কার্যকারিতা আলোচনা
করবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
- পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
- পায়েলস থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা
- পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় চিকিৎসার পরামর্শ এবং নিয়ন্ত্রণ
- পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া প্রক্রিয়া
- পুষ্টিকর খাবার
- পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি কি করণীয়
- পাইলস রোগ হওয়ার আগের লক্ষণ
- পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত
- পাইলস রোগের সময় পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
পাইলস হেমোরয়েডস একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি মূলত
আন্তরিক ইন্টার্নাল বা হিট এক্সটার্নাল পায়েস হিসেবে দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং
পাইলসের কারণে রোগীর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থ এবং ব্যথার মুখোমুখি
হন। পাইলস হলো মলদ্বারের রক্তনালী সম্প্রসারণ যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর
মধ্যে প্রধান কারণ হলো কষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘ সময় বসে থাকা অতিরিক্ত চাপ দেওয়া
গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি। এগুলো সাধারণ লক্ষণ সময়ের মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত রয়েছেঃ
- মলদ্বারে ব্যথা ও অস্বস্তি
- রক্তক্ষরণ বিশেষ করে মলত্যাগের সময়
- চুলকানি ও অস্বস্তি
- মলদ্বারে ফুলে যাওয়া
পায়েলস থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়
পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম প্রথম পদক্ষেপ হলো জীবন যাপনের পরিবর্তন করা। এটি সহজে গ্রহণযোগ্য এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত করা হলোঃ
- ১। ফাইবার যুক্ত খাবারঃ খাইবার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অন্ত্রের সঞ্চালন উন্নত করে। এটি মলকে নরম করে তোলে যা মলত্যাগ সহজ করেন করে। যুক্ত খাবারের মধ্যে শাকসবজি ফলমূল এবং সম্পূর্ণ শস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- ২। পর্যাপ্ত পানি পানঃ পানি পরিপূর্ণভাবে মল কে নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
- ৩। নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে। ব্যায়াম হালকা হতে পারে যেমন হাটা সাইক্লিন অথবা দৌড়ানো।
- ৪। মলত্যাগের অভ্যাসঃ মলত্যাগ করার সময় চাপ না দেওয়া চেষ্টা করুন। মলত্যাগ করার জন্য সময় বরাদ্দ করুন এবং প্রয়োজনে মলত্যাগের পরে গরম পানি স্থানান্তর করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা
এছাড়াও যদি জীবন যাপনের পরিবর্তনগুলি যথেষ্ট না হয়। তবে চিকিৎসার দিকে মনোযোগ
দেওয়া উচিত। পাইলসের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং থেরাপির উপলব্ধ
রয়েছে যেমনঃ
- ল্যাক্সেটীবসঃ কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর জন্য ল্যাক্সেটীবস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অ্যান্টি-ইনফ্লামেন্টারি ক্রিমঃ পাইলসের লক্ষণ গুলি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও পেস্ট ব্যবহার করা হয়।
- লিগেল থেরাপিঃ এই পাইলসের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দেয় যা পাইছে সংকুচিত হতে সাহায্য করে।
- সেক্লোথেরাপিঃ একটি রাসায়নিক দ্রব্য পাইলসের রক্তনালীতে ইনজেকশন করা হয় যা সে রক্তনালী বন্ধ করে দেয়।
- সার্জারিঃ গুরুতর ক্ষেত্রে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে আপনি এমন একটি জায়গা বেছে নিতে পারেনযেখানে পায়েল অপারেশন করা হয়।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় চিকিৎসার পরামর্শ এবং নিয়ন্ত্রণ
যদি জীবন যাপন পরিবর্তন, ঔষধ , এবং হোম রেমেডি দ্বারা উপসর্গগুলি
নিয়ন্ত্রণে না আসে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং
বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা পাইলসের উন্নত চিকিৎসার অংশ হতে পারে। পাইলস
একটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য সমস্যা এবং সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপন পরিবর্তন দ্বারা এবং
অবসরগুলি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকিৎসা ও সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমে
পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তবে এটি নির্ভর করে আপনার শারীরিক
অবস্থার উপর। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া হতে পারে, এবং চিকিৎসকের
নির্দেশনা অনুযায়ী চলা উচিত। জীবন যাপনের পরিবর্তন ওষুধ এবং প্রাকৃতিক উপাদানের
সঠিক মিশ্রণ টাইলসের লক্ষণগুলি হার্টস করতে সহায়তা করবে এবং আপনাকে শান্তি
প্রদান করবে।
আরো পড়ুনঃ আমলকির উপকারিতা
এছাড়াও পাইলসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, চিকিৎসক
পাইলসের প্রকার এবং গুরুতরতা অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ প্রদান করবে্ন।
তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা ঔষধিক চিকিৎসা বা সাদা চিকিৎসা
প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে।
পাইলস একটি বিরক্তিকর সমস্যা হলো এটি সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের
মাধ্যমে সম্পূর্ণ রূপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে এবং গুরুতর
ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ঘরোয়া
প্রক্রিয়া জীবনযাত্রার পরিবর্তন ঔষধ চিকিৎসা এবং চিকিৎসার পদ্ধতি মাধ্যমে পাইলস
থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং জীবনকে আরো সুন্দর ও সুস্থ ও সুখময়
করা সম্ভব।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া প্রক্রিয়া
পায়েলস থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের চিকিৎসা
আপনি নিজেই করতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার অনেকগুলো উপায়
এবং পদ্ধতি রয়েছে। যদিও বা পাইলস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি শারীরিক
অস্বস্তির সৃষ্টি করে, তবে এটি একটি ঘরোয়া সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এবং
জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং মুক্তি
পাওয়া সম্ভব, এখানে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে
চিকিৎসার পরামর্শ বিস্তারিত দেওয়া হল।
১। সিটজ বাথঃ সিটজ বাথ একটি খুবই কার্যকরি ঘরোয়া প্রক্রিয়া যা পাইলসের
ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সহায়ক।সিটজ বাথ করার জন্য একটি পাত্রে উৎসব
জলপূর্ণ করুন এবং এতে বসুন। উৎসব জল পাইলসের এলাকার নরম করে এবং রক্ত সঞ্চালন
উন্নত করে। এটি দিনের কয়েকবার করা যেতে পারে এবং সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে
করা উচত।
২। তেল ও ক্রিমঃ অ্যালোভেরা জেল, পেট্রোলিয়াম জেলি, অথবা অন্যান্য
এন্টি ইনফ্লামেন্টরি ক্রিম পাইলসের এলাকা নরম এবং আরাম প্রদান করতে সাহায্য করে।
এই ধরনের ক্রিমগুলি মলদ্বারে ত্বককে হাইডেটেড রাখে এবং প্রদাহ কমাতে
সাহায্য করে।
৩। ঠান্ডা সংক্রমণঃ ঠান্ডা সংক্রমণ বা বরফের ত্যাগ ব্যবহার করলে পাইলসের
এলাকা ভুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। মলদ্বারের বাইরের অংশে কয়েক মিনিট
ধরে লাগান। এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিকর খাবার
পুষ্টিকর খাবার হল এমন খাবার যার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো সরবরাহ
করে এর মধ্যে ভিটামিন খনিজ প্রোটিন ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত
থাকে। পাইলস রোগ হওয়ার সময় আপনাকে যে সব খাবারের তালিকা ব্যবহার করতে হবে তা
নিচে দেওয়া হল।
৪। খাদ্যের তালিকাঃ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ পাইলসের সমস্যা প্রতিরোধ
সহায়ক। ফলমূল শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ সোচ্চার খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ফাইবার
মলকে নরম করে এবং মালটাকে সাহায্য করে যা পাইলসের উপসর্গ কমায়।
৫। পর্যাপ্ত জল পানঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। জল শরীরের হাইড্রোজেন বজায় রাখে এবং মলকে নরম করে সহজ করে এবং
পাইলসের উপসর্গ কমায়।
৬। শারীরিক সংক্রিয়তাঃ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম পাইলসের ঝুঁকি কমাতে
সহায়ক। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা পাল্টে উপসর্গ বাড়াতে পারে। তাই
দৈনিক হাটা বা হালকা ব্যায়াম করা উচত।
এছাড়াও রয়েছে ব্র্যান্ড লিগেশন এটি একটি সাধারণ এবং কার্যকরী চিকিৎসার পদ্ধতি
যেখানে একটি বিশেষ রাবার ব্যান্ড অভ্যন্তরীণ পাইলসের উপর লাগানো হয়। ব্যাংকের
রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দেয় এবং কিছুদিনের মধ্যে পাইলস মারা যায়। এই পদ্ধতি
সাধারণত ক্লিনিকে করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অল্প ব্যথা সহ্য করতে হয়।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কি কি করণীয়
পাইলস বাহোমের ডগস থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এগুলো আপনি আপনার ঘরোয়া পদ্ধতিতে করতে পারেন। অথবা কোন বড় চিকিৎসাবিদের পরামর্শ
নিয়েও করতে পারেন। আপনার যদি বেশি কোন সমস্যা না হয়। তাহলে আপনি কারো
পরামর্শ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের চিকিৎসা নিজেই করতে পারেন তার কিছু পদ্ধতি
নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হল।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
- প্রজেক্টর জল পান করা
- নিয়মিত ব্যায়াম
- অলসতা থেকে বিরত থাকা
- সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা
- গরম পানিতে স্নান
- মৌলিক ঔষধ ক্রিম ব্যবহার
- চিকিৎসকের পরামর্শ
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন
পাইলস রোগ হওয়ার আগের লক্ষণ
যদি আপনার পাইলসের লক্ষণগুলি গুরুতর হয় অথবা ঘরা প্রক্রিয়া দ্বারা ঠিক না
হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক আপনার
পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার পরিকল্পনা করবেন।
তারা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এবং সম্ভবত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার
ব্যবস্থা যেমন মেডিকেশন লেদার থেরাপি অথবা অন্ধ্র প্রস্তাব করতে পারেন। এছাড়া
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে সাবধানতা অবলম্বন
করা উচিত। এছাড়াও পাইলসের সমস্যার সাথে মোকাবেলা করার জন্য জীবনটা কিছু
পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং সঠিকভাবে হাইটেক টাকা আপনার
স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে এবং পাইলসের ঝুঁকি সাহায্য করবে। পাইলসের
ঝুঁকি আপনার জীবনের প্রতিটি দিনের যত্ন নেওয়া এবং সুস্থ জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে
তোলা পাইলসের সমস্যা কমাতে এবং আপনার স্বাভাবিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য
করে। এই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি
পেতে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। যদি সমস্যার উন্নতি না হয় বা বৃদ্ধি
পায় তবে দ্রুত একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত
পাইলসের সমস্যা হলে সাধারণত ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত ফাইবার
এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পাইলস থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। ফাইবার মূলত দুই ধরনের হয় ভাসামিক এবং দ্রবণীয় ভাসমিক
ফাইবার মলদ্বারের চাপ কমাতে সহায়ক করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ
করলে নরম রাখা চাই যা কষ্ট কঠিন না কমাতে সাহায্য করে এবং পাইলসের উপসর্গ
হর্স করে। যেমনঃ
- ফলমূলঃ আপেল কমলা কলা পেয়ারা স্ট্রবেরি এবং জাম্বুরা এমন কিছু ফল যা ফাইবারের ভালো উৎস। আপেল এবং কমলা বিশেষ করে উচ্চ ফাইবারযুক্ত। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- সবজিঃ সবজি বিশেষ করে গাজর, ব্রকলি ফুলকপি পটল এবং শাকসবজি পালং শাক চিচিঙ্গা ফাইবারের সমৃদ্ধ। এগুলো পাইলসের সমস্যা সহায়ক হতে পারে কারণ তারা মলকে নরম করে তে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
- শস্যদানাঃ ব্রাউন রাইস কোটস বার্লি এবং হলগেইন পাস্তা এমন কিছু শস্যদানা যা ফাইবার সমৃদ্ধ। সম্পূর্ণ সর্ষের খাদ্যক কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক এবং হজমের উন্নতি সাধন করে।
- ডাল ও শিমঃ মুগ ডাল মসুর ডাল চেনা ডাল কালো সিম এবং সয়াবিন প্রকৃতি ডাল ও সিএম ফাইবারের ভালো উৎস। এগুলো নিয়মিত খেলে মলদ্বারের চাপ কমানো সম্ভব এবং কষ্ট-পাঠানো দূর করা যায়।
পাইলসের সমস্যা থেকে মোকাবেলা করার জন্য মুখ মেনে চলা উচিত পাইলস
সমস্যা হলে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বা নিজের কোন পুরনো অভিজ্ঞতা ছাড়া।
অন্যান্য খাবার খাওয়া উচিত নয়। এটা আপনার সমস্যা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যেতে
পারে। তাই কোন কিছু খাবার আগে বা কোন খাবার বা কোন ফল
খাবার আগে অভিজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নিন। উপরে দেখানোর সকল ঘরোয়া পদ্ধতি এবং
জীবন চক্রের পরিবর্তন এবং কোন কোন খাবার খাওয়া উচত। এগুলো মেনে চলতে পারলে
আপনার সমস্যা আপনি নিজে ঠিক করে ফেলতে পারবেন। যদি নিজে থেকে কোন কিছু করতে ভয়
পান তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
পাইলস রোগের সময় পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা
পুষ্টিকর খাবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। আমাদের
শরীরের সঠিক সক্ষমতা সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে পুষ্টিকর
খাবার অপরিহার্য। পুষ্টিকর খাবার বলতে বোঝায় এমন খাবার যার শরীরে
প্রয়োজনীয়তা পুষ্টি উপাদানগুলো সরবরাহ করে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে
এই প্রবন্ধে আমরা পুষ্টিকর খাবারের বিভিন্ন প্রকার, ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান
যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন এমন একটি পুষ্টির উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া
সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য কর। ভিটামিন A,C,D,E, এগুলো ভিটামিন
স্বাস্থ্য ক্ষতি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি শক্তিশালী
এন্টিঅক্সিস ডাইড হিসেবে কাজ করে। এইজন্য পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সাইড রোগ
প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং ভাইরাস ও
ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। আমাদের দৈনন্দিন শক্তি প্রদান করে,
প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের কার্যক্রম
সহায়তা করে। পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, এটি
স্বাস্থ্যের পাত্রাসের মধ্যে থাকতে পারে ওঠ বা সারাদেশ এর সাথে ফল
বাদাম এবং, সিম্পল একটি দৈর্ঘ্য সময় ধরে শক্তি সরবরাহ করে এবং হজমে সাহায্য
করে।
পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় নিয়ে আমার শেষ কথা
পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাইলসের সমস্যা কমাতে আপনাকে অবশ্যই খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন
করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর
টয়লেটের অভ্যাস করতে হবে, এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পাওয়ার জন্য একটি
সুস্থ জীবনধারাও ওজনও চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে, আপনাদের যদি ভালো লাগে বা আমার দেওয়া পরামর্শ
থেকে আপনাদের যদি কোন উপকার হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই এটি শেয়ার করে সবাইকে দেখার
সুযোগ করে দিবেন, আর দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততদিনে ভালো থাকুন সুস্থ
থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
sundor 🫂