সমাজ কাকে বলে - সমাজ কি

সমাজ কাকে বলে সমাজ হল একটি সামাজিক সত্তা যা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক , কার্যালয় ও সংস্থান বোধের একটি জটিল নেটওয়ার্ক । সমাজের সঙ্গে বোঝানোর জন্য এর ভিতরে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও উপাদান বুঝতে হবে ।

সমাজ কাকে বলেসমাজ কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে এটি কাজ করে । এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা  করব , সমাজ কাকে বলে এবং সমাজ কি ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সমাজ কাকে বলে 

সমাজ কাকে বলে

আমাদের সবার প্রশ্ন সমাজ কি এটা আমরা অনেকেই জানিনা হয়তো । আসলে সমাজ বলতে বোঝায় মানুষের একটি গোষ্ঠী যারা একসাথে বাস করে এবং পরস্পরের সাথে সামাজিক অর্থনৈতিক সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে । সমাজের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন সম্পর্ক ও আত্ম সম্পর্ক , নিয়ম ও নীতি , সংস্থার কারণ , সংস্কৃতি ও মূল বোধ , এগুলো বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো ঃ

১। সম্পর্ক ও আত্ম সম্পর্কঃ সমাজের সদস্যরা একে অপরের সাথে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে । এই সম্পর্কগুলো পারিবারিক বন্ধুত্ব পেশাগত অথবা সামাজিক হতে পারে । এছাড়াও এ সকল সম্পর্কের মাঝে নেটওয়ার্কিং সম্পর্কটা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । সম্পর্কের এই নেটওয়ার্কের বৃদ্ধি গঠন করতে সাহায্য করে ।

২।নিয়ম ও নীতিঃ সমাজে সাধারণভাবে যোগাযোগ ও কিছু নিয়মনীতি থাকে যা মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে । এই নিয়মগুলো সাংস্কৃতিক আইনগত অথবা সামাজিক হতে পারে এবং এগুলো সমাজে স্থিতিশীলতার রক্ষা করে থাকে । যেমন আপনি আপনার মত করে ভাববেন হতে পারে আপনার সামনে থাকা ব্যক্তিটি আপনার মত করে নাও ভাবতে পারে । সেই জন্য এই নিয়মগুলো সাংস্কৃতিক অথবা আইনগতভাবে স্থিতিশীলতা রক্ষা করে ।

৩। সংস্থাকরুনঃ সমাজ সাধারণত বিভিন্ন সংস্থার বিভক্ত থাকে যেমন পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠন । সমাজ অনেক ধরনের হতে পারে তার মধ্যে কিছু আছে হল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি । পারিবারিক শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠা এগুলো হতে পারে অন্য ধরনের ধর্মীয় সংগঠন । কার্যক্রম সংগঠনে পরিচালিত করে।

৪। সংস্কৃতি ও মূলবোধঃ সমাজের সদস্যের মধ্যে একটি সাধারণ সংস্কৃতি ও মূল বোধ থাকে যা তাদের আচরণ ও চিন্তা ভাবনাকে প্রভাবিত করে । আপনি হয়তো জানেন সংস্কৃতি ঐতিহাসিক ভাষা ধর্ম এবং বিশ্বাস সমাজের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য গঠন করে । আপনি সংস্কৃতিক ঐতিহাসিক ভাষা এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে আপনি সামাজিকভাবে আলোচনা করতে পারবেন।

সমাজ কাকে বলে এবং সমাজের গুরুত্ব কতটা  সমাজ মানুষের জীবনের অঙ্গ এবং এর মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে । সহায়তা করে এবং একটি সম্মিলিত পরিচয় সংগঠন করে । সমাজ মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এই জন্য একটি প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয় । আপনাকে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে , অবশ্যই আপনাকে এই কথাগুলো মাথায় রেখে চলতে হবে ।

এছাড়াও সমাজের সাথে সম্পর্কিত পরিবর্তন গুলো কখনোই স্থির থাকে না । প্রযুক্তি অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজগুলো পরিবর্তন হতে থাকে । আপনাকে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ আপনাকে ব্যবহার করতে হবে । নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ সমাজকে উন্নত করার প্রথম দর্শক হিসেবে কাজ করে ।

সমাজ কাকে বলে এবং সমাজ কি

সমাজ বলতে মূলত এমন একটি ব্যবস্থা বোঝায় যেখানে একাধিক ব্যক্তি একত্রে কিছু নিয়ম কানুন প্রতিষ্ঠা করে । একসঙ্গে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে । মানুষের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি মিলিতভাবে লিখিত বা অলিখিত নিয়ম কানুন তৈরি করে । এই একত্রে বসবাসের অবস্থা সমাজ হিসেবে পরিচিত । দেখা যায় তবে সেখানে মানুষের মতো সমাজের উদাহরণ পাওয়া যায় না । নিষিদ্ধ আচরণ এবং টোটেম ।

সমাজের মধ্যে যেমন সদস্যদের মধ্যে সৌন্দর্য সহযোগিতা এবং মন্ত থাকে না । তেমনি ঘৃণা লোভ এবং প্রতিহিংসা তৈরি হতে পারে । তাই সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অলিখিত নিয়ম তৈরি হয়, যার লঙ্ঘন সাধারণত চরম অসম্মানজনক এবং সমাজের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য। তবে নিঃসন্দেহে এটি সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গঠনের জন্য সৌন্দর্য সহযোগিতার অপরিহার্য ।


এছাড়াও সাধারণভাবে আমরা সমাজ বলতে বুঝি আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছু যা মানব জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজবিজ্ঞানেরা সমাজকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ওয়েস্টার মার্ক বলেন সমাজ হচ্ছে এমন একটি গ্রুপের সমষ্টি যার যারা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জীবন যাপন করে । ডিস্টার্ব এর মতে সমাজ হল সামাজিক সম্পর্কের একটি বন্ধন যা সকলকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত রাখতে সাহায্য করে ।

গিটিংসের মতে সমাজ হল সেই সংঘটিত মানব গোষ্ঠী যারা একটি সাধারণ উদ্দেশ্য সাধারণের জন্য মিলিত হয়ে একে অপরের সাথে মতামত বিনিময় করে থাকেন । সমাজ বলতে আমরা বুঝি সকল ব্যক্তি সমষ্টিগতভাবে ব্যবসা করা । মানুষের সাথে মানুষের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংগঠিত বা অসংগঠিত সচেতন বা অসচেতন, সহযোগিতামূলক বা বৈষম্য মূলক সকল সম্পর্কে সমাজ বলা হয় ।

সমাজ হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কের মানুষ কিছু নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একত্রে বসবাস করে থাকে । প্রাচীনকাল থেকে মানুষ যৌথ সমাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে । যা বিকাশ ও পরিবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সমাজে পরিণত হয়েছে । যেখানে মানুষ একত্রে একটি  উদ্দেশ্যের জন্য মিলিত হয় । আমরা সকলে সমাজের অংশ কারণ মানুষ সামাজিক জীব ।

সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি  ও কত প্রকার

সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি ও কত প্রকার চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক । সমাজ বলতে এমন একটি সংগঠনকে বোঝায় যেখানে মানুষ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য একত্রে বসবাস করে । সমাজ হচ্ছে একটি মানবিক গঠন যা মানুষের প্রয়োজন পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠিত । সমাজের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নিজে তুলে ধরা হলো ঃ

১। ব্যক্তির সমষ্টিঃ ব্যক্তি হল সমাজের মূল উপাদন। মানুষ একা থাকতে পারে না তাই একটা কোন সমাজ গঠন করা হয় না ।

২। পারস্পরিক সম্পর্কঃ সমাজের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। সমাজে ব্যবসা কারীর ব্যক্তিরা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।

৩। সামাজিক শৃঙ্খলাঃ সমাজের সদস্যরা ও নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে পারে না । তাই সমাজবদ্ধ জীবন যাপন করে ব্যক্তিদের সামাজিক শৃংখলার রক্ষা করা প্রয়োজন ।

সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি ? সমাজের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অভিন্ন উদ্দেশ্য। সমাজ সৃষ্টি হয় একে অপরের অভিন্ন উদ্দেশ্যে অর্জনের জন্য । সমাজের ব্যবসা কারী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সহানুভূতি থাকা অপরিহার্য । সহানুভূতির অভাব থাকলে সমাজ গঠন সম্ভব নয় । তাই সমাজে ব্যবসা করতে হলে একজন ব্যক্তিকে অন্যদের প্রতি সহানুভূতি প্রদান করতে হবে ।

সমাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল পারস্পরিক সহযোগিতা। নিজেদের এবং সমাজের অন্যান্য সদস্যদের প্রয়োজন পূরণের জন্য একে অপরের প্রতি সহযোগিতা প্রদান করার জরুরী । পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় । আমরা এখানে জানতে পারলাম সমাজের বৈশিষ্ট্য কি কি  । অর্থাৎ একটি সমাজ গঠন করার জন্য সকল ব্যক্তিকে একত্রে থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ ।

সমাজের উপাদান কি কি ও কত প্রকার জেনে নিন 

আমাদের সকলের একটি কমন প্রশ্ন থাকে সমাজের উপাদান কি কি ও কত প্রকার । আসলে সমাজ একটু জটিল ও বহুমাত্রিক সত্তা যা বিভিন্ন উপাদানের সরলম্বে গঠিত । আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে তার মধ্যে শতকরা পাঁচ থেকে ছয়টা হলো খুবই কমন সমাজের উপাদান কত প্রকার ও কি কি তার কিছু উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলোঃ সমাজের উপাদান অনেকগুলো হতে পারে যথাঃ
  1. পরিবার ও বিবাহ প্রথা
  2. ভাষা
  3. অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান
  4. ধর্ম
  5. রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
  6. সামাজিক গোষ্ঠী
  7. সামাজিক আদর্শ ও মূল্যবোধ

এছাড়া মানুষ সমাজের ভিত্তি এবং প্রধান উপাদান । সমাজের উপাদান কি কি ও কত প্রকার প্রতিটি মানুষের প্রত্যেকটি ব্যক্তির সমাজের অংশ হিসেবে তার নিজস্ব চরিত্র অভিজ্ঞতা এবং মূলবোধ নিয়ে সমাজে আবদান রাখতে পারবে। অথবা আবেদান রাখা উচিত । মানুষের চিন্তা আচরণ এবং সম্পর্ক সমাজের কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আমরা এখানে জানতে পারলাম সমাজের উপাদান কি কি ও কত প্রকার । এছাড়াও আপনার মতে সমাজের উপাদান কি কি কত এই বিষয়ে যদি আপনার অন্য কোন মূল্যবোধ থেকে থাকে । অবশ্যই তা আপনি আমাকে জানাবেন ।

সমাজ কাঠামোর উপাদান সামাজিক কাঠামো বলতে কী বোঝো

সমাজ কাঠামোর উপাদান সামাজিক কাঠামো বলতে কী বোঝো
সমাজ কাঠামোর উপাদান মানব গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন গঠন করে সমাজ । তবে যখন মানব গোষ্ঠীর কার্যালয় পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত না হয়, তখন সমাজ টিকে থাকতে পারে না। মানুষ কার্যালাপের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ধারণা গুলি যত বেশি দৃঢ় ও ছুপ প্রতিষ্ঠিত হয় ততই সমাজের ভিত্তি মজবুত হয়। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী সমাজে টিকে থাকার জন্য এসব প্রতিষ্ঠিত ধারণা কার্যালয় এবং সংঘটিত সমঝোতার গুরুত্ব কেন্দ্র করে আলোচনা করেন ।

জিন্সবার্গ সমাজ কাঠামোর উপাদান হিসেবে সমাজের প্রধান প্রধান অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান ও দলগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব আলাপ করেছেন । প্রকৃতপক্ষে সমাজ কাঠামোর উপাদান গুলো হলো মানুষের মৌলিক চাহিদার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান দল যেমন পরিবার বিবাহ । ভাষা ধর্ম এবং অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও মনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান । রাষ্ট্র সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বিধিবিধান ও মূল বোধ সমূহ ।

এছাড়া অনেক সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন যে পরিবার ও বিবাহ প্রথা সমাজে অনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। কারণ এগুলি মানুষের বংশবিস্তার এবং অর্থনৈতিক সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পারিবারিক ও বিবাহের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ অর্থনৈতিক সহায়তা জৈবিক বাসনা পূরণ এবং মনতান্ত্রিক প্রয়োজন পূরণ হয় । এটি সিটির পরিবার সামাজিক জীবনের শৃঙ্খলা ব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়ক হয় ।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবার ও বিবাহ প্রথা সমাজ গঠন কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয় । মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য ব্যবহার সামগ্রী এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দরকার হয় । বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক প্রয়োজনের ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে ।

মল্লিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন ভোগ বন্টন বিনিব্যবস্থা এবং সম্পত্তি ও মালিকানার ধারণা মত বিষয়গুলি । এসব মল্লিক চাহিদা মানুষের অর্থনৈতিক কার্যালাপের অন্তর্গত । কোন সময় যে মল্লিক প্রয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না । তাই অর্থনীতিকে অনেকের সমাজের মৌলিক এবং অন্যতম প্রধান ভিত্তি মনে করেন । এই প্রসঙ্গে অর্থনীতির গুরুত্বের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে সমাজ কাঠামোর বিশ্লেষণ করেছে ।

সুশীল সমাজ কাকে বলে ও কি কি 

সুশীল সমাজের আধুনিক সংজ্ঞাটি সাময়িক উদার ও গণতান্ত্রিক তন্ত্রের প্রধান ধারনার একটি সুপরিচিত উপাদান হিসেবে বিবেচিত । এটি শুধু বর্ণনামূলক বৈশিষ্ট্য প্রদান করেনা বরং নৈতিকতার একটি লিটনে বহন করে যা রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা এবং প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত। কিছু উকিলের মতে একটি স্বাধীন সুশীল সমাজ একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য এবং এর অভাব বা পতন কে প্রায়শই বিভিন্ন সামাজিক অর্থ রাজনৈতিক অসুস্থতার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুশীল সমাজের ধারণা নিয়ে ব্যাখ্যা পর বিতর্ক হয়েছে । এটি সমাজকে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি বিশেষত্ব কাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ধারণাটিতে সুশীল সমাজকে রাষ্ট্র সরকারি পাবলিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অসুবিধ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং বিরোধী হিসেবে বোঝায় তাকে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল এটি রাষ্ট্র এবং সমাজের মধ্যে জটিল আত্মসম্পর্কের উপলব্ধি বাস্তবায়ন করে।


একইভাবে পশ্চিম পুঁজিবাদী সমাজের বিশাল বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীগুলির যে সামাজিক মূলবোধ প্রচার করে তা বাজারের সাথে সম্পর্কিত এবং সম্ভবত তার বিরোধী হতে পারে । পশ্চিমের নাগরিক সমাজের যে মিশ্রণ এবং সঙ্গের রূপ রূপণ গুলি  প্রাধান্য পায় সেগুলি সাধারণত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক এবং মূল দ্বারা প্রভাবিত ও গঠিত হয় ।

সুশীল সমাজ ও আধুনিকতা

নাগরিক সমাজের ধারণা ইতিহাসবিদ্যা উল্লেখ করেন যে আধুনিক সংরক্ষণের মূল এই শব্দের জটিল এবং বহুমুখী যুক্তিবিদদের ঐতিহাসিক নিহিত । এটি বিভিন্ন চিন্তার প্রবন্ধটি দ্বারা প্রভাবিত করে যা আধুনিক পাশ্চাত্য চিন্তাধারা ভিত্তিক গড়ে তোলে । শুরুতে উল্লেখিত ধারনা গুলির পশ্চিমা আধুনিক ১৮ এবং ১৯ শতকে দ্বারা গঠিত হয়েছিল । বিশেষ এ ধারণা বিশেষত্ব এই ধারণা যে আধুনিক সমাজগুলোকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিকাশের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।

নাগরিক সমাজ আজও অনেক প্রকার প্রবণতার দ্বারা সততা এবং সত্যের মূল বোধ হিসেবে বিবেচিত হয় রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক জীবনে অর্জিত হয় না বলে মনে করা হয়। আবার সাধারণভাবে বলতে গেলে আধুনিক ইউরোপিয়া চিন্তাধারা ভাষায় সুশীল সমাজের প্রবেশ সমাজ ও রাজনৈতিক সম্পর্কে উদার মানবর্তের বিকাশ এবং বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

১৮ শতকের পর থেকে এটি মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপক ব্যক্তিত্ববাদী স্বায়ত্তশাসিত এবং যুক্তিবাদী বোঝাপড়ার প্রেক্ষাপটে অভিভূত হয় যা উদার চিন্তাবিদদের প্রচার করতে চেয়েছিলেন । অনেক উদার পত্রিকার জন্য একটি অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন যে সামাজিক শৃঙ্খলা এবং সামাজিক নৈকত নৈতিকতা বাধ্যতা গত একটি সাদৃশ্যের মাধ্যমে বোঝা যায় ।শাসক এবং শাসিতের মধ্যে সামাজিক চুক্তি যা আইন ভিত্তিক শাসন নাগরিকের স্বাধীনতা একটি পূর্ব শর্ত এছাড়া বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা অর্জনের জন্য নাগরিকদের অত্যন্ত সম্পর্কের সামগ্রিক চিত্রের উন্নতি এবং সহায়কদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।

পশ্চিম উদার গণতন্ত্রের সচেতন সূচক গতিপথের পূর্ব শর্ত এবং চিহ্নিতকারী হিসেবে সুশীল সমাজ । সমালোচনা সুশীল সমাজের মধ্যে ক্ষমতাও সম্পর্কের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় যা এই বৈষম্যের মৌলিক চৈত্র সমাধান উদ্ধার তিনটার ও ক্ষমতা এবং কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতা ও ইচ্ছার অভাব নির্দেশ করে । কিছু রাজ্য সুশীল সমাজ সংস্থাগুলিকে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যের জন্য ব্যবহার করে এবং মাঝে মাঝে এর সাথে কারসাজি করে।

সামাজিক উৎপত্তি এবং বিকাশ

সুশীল সমাজের উদারনৈতিক ধারণা সম্পর্কে সঞ্চয় প্রতিফলিত হয় এবং এর অর্থ ও সম্ভাবনা নানা ধারণাকে জীবিত রাখে। পাশাপাশি এই শব্দটি রক্ষণশীল পাশাপাশি শব্দটি রক্ষণশীল ও কন্ট্রোল উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । প্রকৃতপক্ষে সিভিল সোসাইটি শব্দটি রাজনৈতিক চিন্তা ইতিহাসের ভিন্ন ভিন্ন অভ্যন্তর গ্রহণ করেছে এবং পশ্চিমা চিন্তাধারার এর অলস অর্থ তার বর্তমান রূপে থেকে বেশ আলাদা ছিল ।

রোমান লেখক শেষের যিনি এস্টেটল এর কোন নিয়ম পলিটিকের অনুবাদ শব্দটি একটি রাজনৈতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে চেয়েছেন । যা সাধারণত একাধিক শহর অন্তর্ভুক্ত ছিল । যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং শহরের জীবন দ্বারা চিহ্নিত ছিল । এই ধরনের বিপরীতে ছিল । ১৭ এবং ১৮ শতকের ইউরোপিয়া চিন্তা বিদ্যার দ্বারা এই ধারণা পরিবর্তিত হয় । সুশীল সমাজ একটি নতুন অর্থের ধারণা লাভ করে ।


সুশীল সমাজ সম্পর্কে চিন্তা করার একটি ভিন্ন পদ্ধতি ১৯ শতক থেকে জার্মানি চিন্তা ধারার মাধ্যমে সংস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছিল যা নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা এবং সম্ভবত বিপরীত হিসেবে দেখতে চেয়েছিল । এই দৃষ্টিভঙ্গের মাধ্যমে দাঁড়িয়ে এবং আংশিকভাবে পরস্পর ও ভারলেপ করে। কিছু প্রধান তান্ত্রিকদের চিন্তা ধারায় একটিভিত্তিক দীর্ঘস্থায়ী ধারণা উদ্ভব ঘটে ।

১৮ শতকের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ঐতিহাসিক সাথে সংযুক্ত অ্যাডাম স্থির এবং হাসানের মতে সুশীল সমাজ একটি স্বাধীন বাণিজ্যিক ব্যবস্থা অর্থ সম্পর্কিত বিকাশ থেকে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত । তাদের মতে এটি প্রধান অনুসন্ধানের্ভরতা জটিল শৃঙ্খলার বিস্তার ঘটায় এবং এটি সার্বজনিত ক্ষেত্রের উন্নয়ন ঘটায় । যেখানে সমাজের সাধারণ স্বার্থগুলো পূর্ণ বিবেচনা করা সম্ভব হয়।

সমাজ এর প্রস্তাব

সমাজ বিভিন্ন দিক থেকে মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে । যেমন মানসিক স্বাস্থ্য অর্থ সামাজিক উন্নয়ন সাংস্কৃতিক পরিচয় রাজনৈতিক প্রভাব । এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব নিরূপ সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

আপনাদের পছন্দ হবে এমন আরও পোস্টার তালিকা

  • মানসিক স্বাস্থ্যঃ সময় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য এবং অনুভূতির উপর প্রভাব ফেলে। সামাজিক সম্পর্ক সহায়তা এবং অপরের সাথে সংযোগ মানুষের সুখ এবং শান্তি সমৃদ্ধ সহায়ক ।
  • অর্থ ও সামাজিক উন্নয়নঃ সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন বা অবনতি মানুষের জীবনমানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি সুস্থ সমাজের অর্থনৈতিক সুযোগ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা থাকে।
  • সাংস্কৃতিক পরিচয়ঃ সমাজ সংস্কৃতিক পরিচয় গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিক এবং অভ্যাস গুলি সমাজের বৈচিত্র সৃষ্টি করে ।
  • রাজনৈতিক প্রভাবঃ সমাজের রাজনৈতিক কাঠামো এবং নীতি সমূহ মানুষের অধিকার সুযোগ এবং সুরক্ষার প্রভাব ফেলে। এটি সুস্থ না রাজনৈতিক পরিবেশ সমাজের সদস্যের অধিকারের রক্ষা করে।

সমাজের চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান

সমাজের চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান
সমাজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ও হয়ে থাকে। সেগুলো হতে পারে সামাজিক সমস্যা অথবা সাংস্কৃতিক সংঘাত এবং পরিবর্তন ও আধুনিকরণের সমস্যা। এর মধ্যে কিছু সমস্যা নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • সামাজিক সমস্যাঃ সামাজিক অসাম্য বা বৈষম্য সমাজে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি দরিদ্রতা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবার অসীম সুযোগ সৃষ্টি করে।
  • সাংস্কৃতিক সংঘাতঃ বিভিন্ন সংস্কৃতিক অভ্যাস এবং বিশ্বের মধ্যে সংঘাত সমাজের শান্তি ও সামঞ্জস্যকে বিপন্ন করতে পারে । এটি সামাজিক সংহতি এবং এখন লতা রঙ্গন করে।

  • পরিবর্তন ও আধুনিকরণঃ প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের আধুনিকরণ সমাজের কাঠামো ও মূল্যদের পরিবর্তন ঘটায়। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সমাজকে অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়।

আমার শেষ কথা

সমাজ কাকে বলে সমাজ একটু জটিল এবং বহুমাত্রিক কাঠামো যা মানুষের সম্পর্ক আচরণ এবং সাংস্কৃতিক অভ্যাস দ্বারা গঠিত। মানুষের জীবনে বিভিন্ন উপর প্রভাব ফেলে তাদের মানসিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো এবং কতটা উপকার হলো তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন । দেখা হবে আবারো নতুন কোন পোস্টে । ততদিনে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই কামনা করে আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url