ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার - ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে কোন স্ক্রিলটা অর্জন করলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে বেস্ট হবে। এবং প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণে অ্যামাউন্ট এড করতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের সামনে এমনই কিছু পাঁচটি সেরা স্কিল নিয়ে
আলোচনা করব যেগুলো চাহিদা এবং মুহূর্তে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড রয়েছে। এবং এই
আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে। বিস্তারিত
জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকারফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে যে যোগ্যতা গুলো লাগবে
- ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
- বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স কাজ শিখবেন যেভাবে
- মার্কেটপ্লেস কত প্রকার কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য কিভাবে কাজ শুরু করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ ১০টি কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সম্পূর্ণ গাইডলাইন
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
ফ্রিল্যান্সিং কয়েক প্রকার রয়েছে তার মধ্যে সেরা পাঁচটি উপায়
নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। প্রথমে কথা বলব এসিও নিয়ে মনে করেন এমন
ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কেউ একজন পোস্ট করেছে সে কম্পিউটার বিক্রি করবে। বা ঈদের
রিলেটেড কিছু জিনিস বিক্রি করবে এমন কিছু পোস্ট করেছে।
এখন কেউ একজন গুগলে গিয়ে কোন কিছু একটা লিখে সার্চ করল বা মনে করেন কোন কিছু
কেনার বিষয়ে সার্চ করল।
কিন্তু যেই লোকটি কম্পিউটার বিক্রি করার জন্য পোস্ট করেছে। তার ওয়েবসাইটটি
সামনে না এসে অন্য কারো ওয়েবসাইট সামনে এসেছে। কিন্তু মানুষের সকল
ওয়েবসাইটগুলোতে চোখ দেয় বা প্রবেশ করে যে সকল ওয়েবসাইট গুলো এক নাম্বার বা দুই
নাম্বার র্যাংক করে। কিন্তু যে লোকটি কম্পিউটার বিক্রি করবে বলে পোস্ট করেছে।
তার ওয়েবসাইটটা সামনে আসেনি তাহলে তার প্রোডাক্টটি বিক্রি হবে না।
আরো পড়ুনঃমোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
কিন্তু সেই প্রোডাক্টটির পোস্টটি কে সঠিকভাবে এসেও করে এক নাম্বার বা দুই
নাম্বারে রেংক করানো সম্ভব। আপনি যদি ভাল একজন এসিও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন।
তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য ভালো হবে। আমি শুধুমাত্র আপনাকে একটি এক্সাম্পল
দিয়ে বোঝালাম যে এটা হচ্ছে এসইও এর চাহিদা কিন্তু ওয়ার্ল্ড থেকে এখনো অনেক
বেশি। কিন্তু আপনি চাইলে এসইও টা শিখতে পারেন। এবং আপনি চাইলে গুগলে সার্চ
করে ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার তা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারে।
এখন বলি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে মুভি
আপনাকে একটি আইটি সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং করতে কত টাকা খরচ
হবে সেটি আপনার কোন আইটি সেন্টারে ভর্তি হচ্ছেন সেটির উপর নির্ভর করে। কারণ
সকল আইটি সেন্টারের ভর্তির টাকা এক হয় না। এবং অন্যান্য বাড়তি খরচ তো
রয়েছে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে কোন একটা অভিজ্ঞ সাথে কথা
বলে ভালো একটা এটি সেন্টার ভর্তি হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি
ধরুন আপনার একটা প্রোডাক্ট রয়েছে আপনাকে সেটি মার্কেটে সেল করতে হবে।
কিন্তু আগে যে বিষয় ছিল এখন কিন্তু সেটা আর নেই। এখন আপনাকে প্রো করতে গেলে
ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং এই ভিডিওটা বিভিন্ন জায়গায় পাবলিশ করে লোকজনের সামনে
আনতে হবে বা প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। কিন্তু আপনার এই প্রোডাক্টটা সেল
করতে হবে ঠিক আছে এটা কন্টিনিউ অনলাইন অনলি ওয়ান একটি স্পেশাল
মার্কিন দেখাইতে হবে।
কিন্তু তুমি একা নও আরো হাজার হাজার লোকজন রয়েছে যারা এসিও এক্সপার্ট।
কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি প্রোডাক্ট সেল করার পাশাপাশি কিভাবে অনলাইন থেকে
ইনকাম করবেন। আপনি ভিডিও তৈরি করে প্রোডাক্ট সেল করার পাশাপাশি সে ভিডিও
থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তারপর হচ্ছে এফিলেট মার্কেটিং মার্কেটিং সম্পর্কে
অনেকেই ধারণা আছে।
ধরেন আপনার হাতে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে সে ওয়েবসাইট থেকে আপনি বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট সেল করে কমিশন নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এবং এই কাজগুলো
করা খুবই সহজ, এবং এই কাজগুলি করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে যে যোগ্যতা গুলো লাগবে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করা বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার কথা যখন আমরা সকলে
চিন্তা করি। তখন আমাদের সকলের মাথায় কম বেশি একটি প্রশ্নই আসে সেটি
হল ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে। বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু আগে যে যোগ্যতাগুলো
লাগবে তা কি কি। অর্থাৎ আপনাদেরকে আমি কিছু কথা বলতে চাই।সেটি হল জন্মের পর থেকে কেউ কোন ধরনের স্কেল নিয়ে আসে না। অথবা জন্মের পরে
কেউ ডিসাইড করে নেয় না যে সে ফ্রিল্যান্সার হবে।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন ইনকাম সাইট
এবং লেখাপড়ার মেধা টাকা পয়সা এমনকি অন্যান্য বিষয়গুলো ফ্রান্সিং সেক্টরে তেমন কোনো ম্যাটার রাখে না।এখন আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন। যে এগুলো যদি না হয় তাহলে আমরা
ফ্রিল্যান্সিং করব কিভাবে। এবং এই প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় এসে থাকে তাহলে আপনি
যদি উপরের আর্টিকেলটি ঠিকভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই
পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার যে বেসিক নলেজ গুলো ম্যাটার
করে সেগুলো হচ্ছে।
- আপনার কম্পিউটার স্কিল থাকতে হবে
- বেসিক ওয়েবসাইট স্কিল থাকতে হবে
- ওয়েবসাইট এক্সটেনশনের স্কিল থাকতে হবে
- এবং যেকোনো জিনিসের প্রতি আপনার বেসিক নলেজ এবং ধারণা থাকতে হবে
- চএবং অচেনা একটি ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার এবং তাকে সুন্দর সুন্দর কথা বলে কনভেন্স করার স্কিলটা থাকতে হবে।
ব্যাস এই কয়টা জিনিস হলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে কিছুদিন সময় দিলে আপনি নিজেকে একটি সফল এবং দক্ষ ফ্রীলান্সার হিসেবে
তুলে ধরতে পারবেন। আশা করি আমার কথাগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
আমাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে জানতে চাই ফ্রিল্যান্সিং
এ কোন কাজের চাহিদা বেশি। আসলে এই কথাটি না জানলেই নয়, ফ্রিল্যান্সিং এ কোন
কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং কোন কাজের পারিশ্রমিক সবথেকে বেশি পাওয়া
যায়। সেই সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করতে চেষ্টা করেছি।
ফ্রিল্যান্সিং এর পাঁচটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ এবং সব থেকে বেশি
মাইনে পাওয়া কাজ কয়টি নিচে উল্লেখ করে দিলামঃ
১। ওয়েব ডিজাইনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট
২। ভিডিও এডিটিং
৩। কন্টেন্ট রাইটিং
৪। ডিজিটাল মার্কেটিং
৫। গ্রাফিক ডিজাইনিং
এই পাঁচটি কাজ ফ্রিল্যান্সিং জগতের সব থেকে বেশি চাহিদা সম্পন্ন। এবং আপনি চাইলে
এই পাঁচটি কাজের মধ্যে যে কোন একটি কাজকে আপনার নির্দিষ্ট আয়ের উৎস হিসেবে তৈরি
করতে পারেন। এবং এই পাঁচটি কাজ ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে লাভজনক কাজ।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
আমাদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক লোকের মাথাতে সব সময় একটাই প্রশ্ন ঘুরে সেটি
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি। এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখে ভবিষ্যতে তারা কি
করবে। কিন্তু আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে গত কয়েক বছর ধরে কর্ম ক্ষেত্রে পরিবর্তন
এবং মহামারের কারনে অনেক মানুষ তাদের অনলাইন কাজের জন্য অনেক কর্মী
অর্থাৎ অনেক ফ্রিল্যান্সার খুঁজেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ফুলটাইম কর্মী নিয়োগ না করে
নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাছে কাজ দিয়ে থাকে। এবং অনলাইন জগত
যত দিন দিন উন্নত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি দিন দিন তত আরো উন্নত
হয়ে উঠছে। তাই ফ্রিয়ান্সিং এর ভবিষ্যৎ সবসময় উজ্জ্বল বলা চলে।
আরো পড়ুনঃ
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতা একটি বড় প্রভাব
ফেলবে। আপনাকে নিজেকে একটি বড় মাপের ফ্রিল্যান্সার তৈরি করার জন্য। অবশ্যই
আপনাকে সঠিকভাবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ইন্টারনেটের
মাধ্যমে এখন সীমাহীনভাবে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। এবং এই ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরটি আপনার একটি পার্টটাইম কাজের উৎস হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স কাজ শিখবেন যেভাবে
কিছু কিছু মানুষের ইচ্ছা থাকে ফ্রিল্যান্সিং করবে এবং ফ্রিল্যান্সিং কত
প্রকার জীবনে বড় কিছু করবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে টাকার অভাবে। এবং কোন আইটি
সেন্টারে ভর্তি হওয়ার অভাবে। সঠিকভাবে কাজ শিখতে না পারায় ইনকাম আনতে পারে না।
সে ক্ষেত্রে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি কিছু পদ্ধতি
অবলম্বন করতে পারেন।
বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমে আমি সাজেস্ট করব ইউটিউব
টিউটোরিয়াল ভিডিও। ফ্রিল্যান্সিং শিখার বিষয়ে আপনি youtube চ্যানেলে অনেক ধরনের
ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেখানে অনেক ধরনের কাজ শেখানো হয়। যেমনঃ
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি বিষয়ে বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলের কিছু শেখানো হয়
আপনি এই সকল টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে খুব সহজে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে
পারবেন। এবং আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইনে
বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল শেখার জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে
বিভিন্ন কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফ্রি করে দেওয়া হয়।
আপনি সেই সকল টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং ফ্রি কোর্স ভিডিও গুলো
দেখে অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ফ্রিল্যান্সার
তাদের অভিজ্ঞতা ব্লগারের শেয়ার করে থাকে। আপনি আপনার সমস্যার কথা তাদের কমেন্ট
বক্সে গিয়ে উল্লেখ করে আপনি অনায়াসেই স্ক্রিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন।
মার্কেটপ্লেস কত প্রকার কি কি
আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ কিছু কমন প্রশ্ন করে থাকে যেমন ধরেন
মার্কেটপ্লেস কত প্রকার এবং মার্কেটপ্লেস কি কি। এ সকল প্রশ্ন আপনারা জানার
আগ্রহ নিয়েই প্রশ্নগুলো করে থাকেন। আসলে মার্কেটপ্লেস অনেক ধরনের হয়ে
থাকে। তার মধ্যে তিনটি মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে সব থেকে চাহিদা বেশি।
আপনি চাইলে সেই সকল মার্কেটপ্লেস গুলো বেছে নিতে পারেন।
- সাধারণ ফিনান্স মার্কেটপ্লেস
- বিস্তারিত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
- ক্ষুদ্র কাজ ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস
এই সকল প্লাটফর্ম গুলিতে সবথেকে চাহিদা বেশি এবং সবথেকে বিশ্বস্ত
মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন মার্কেটপ্লেস আসলে
কত প্রকার। এবং মার্কেটপ্লেসগুলো কি কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার।
ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য কিভাবে কাজ শুরু করবেন
ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শিখে কিভাবে কাজ শুরু করব।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা জিনিস যেটা আসলে কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য নয়। এটি
আসলে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেটি সকলের জন্য খোলা থাকে। এখানে সকল ধরনের ব্যক্তিরা
এসে তাদের স্কুলের মাধ্যমে কাজ করে টাকা উপার্জন করে।
আপনার নিজের ভেতরে যদি কোন স্ক্রিন থেকে থাকে। বা ফ্রিল্যান্সিং শিখে যদি আপনি
যেকোনো একটি স্ক্রিল তৈরি করে থাকেন। তাহলে আপনি খুব অনায়াসেই এইসব
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এসে। আপনি আপনার স্কিলটাকে তুলে ধরে কাজ করে ইনকাম করতে
পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং মূলত তাদের জন্য। যারা সব সময় বেকার বসে থাকতে পছন্দ
করে। যেমনঃ
- নতুন বা অভিজ্ঞ পেশাজীবী
- ছাত্র
- গৃহিণী বা পার্ট টাইম কাজ করে এমন ব্যক্তি
- উদ্যোক্তা মনোভাব পণ্য ব্যক্তি
- যারা নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করে তাদের জন্য
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সময়ের সাথে সাথে একজন পেশাদার তার নিজস্ব ক্লায়েন্ট
বেশ তৈরি করতে পারেন এবং পছন্দমত কাজ করতে পারেন। এ কারণে ফ্রিল্যান্সিং কাদের
জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে শুরু করবেন। সেটা আসলে ব্যক্তিগত কোন মানুষের
উপর নির্ভর করে না। আপনি যখন তখন যে কোন সময় যে কোন ভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সি শুরু
করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ ১০টি কাজ
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনার মাথায় অবশ্যই এই
প্রশ্নটি এসেছে। এই যে মার্কেটপ্লেসে বড় কোন কাজ আমি করতে পারব কিনা। আমাদের
মাঝে অনেকেই আছে যারা খুব সহজ পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই সেই সকল কিছু
সহজ পদ্ধতির মধ্যে দশটি পদ্ধতি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিঃ
- ডাটা এন্টি
- কন্টেন্ট রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- এস ডেসক্রিপশন রাইটিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কন্টেন্ট রাইটিং
- অনলাইন কাস্টমার সার্ভিস
- প্রোডাক্ট ও এডিটিং
- অনুবাদ ও ট্রানজেকশন
- গুগল বা সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন পরিচালনা
- লোগো ডিজাইন
এই কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেকেরই কাছে অনেক সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং এই
কাজগুলোতে আয়ের উৎস অনেকটা ভালো। এবং এতে গুণগত মান এবং সময় মত কাজ শেষ করা
বিষয়গুলো মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। আপনি সময় মেইনটেইন করে
কাজ করতে পারলে এসব সেক্টরে আপনি আপনার কাজের উৎস তৈরি করে নিতে পারবেন। তাহলে
আমরা জানতে পারলাম ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে সম্পূর্ণ গাইডলাইন
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে উপযুক্ত
মার্কেটপ্লেস। যেমন ধরুন আপয়ার্ক ফাইবার freelancer.com এই
প্লাটফর্ম গুলির মধ্যে আপনি যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণ করতে পারেন। এবং এই
প্রোফাইল গুলিতে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার আগে আপনাকে একটি দক্ষ প্রোফাইল
তৈরি করতে হবে।
এবং দক্ষ প্রোফাইল তৈরি করার মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টদেরকে আকৃষ্ট করতে
পারবেন। এতে আপনার কাজের উৎস আর একটু বৃদ্ধি পাবে। দক্ষ একটি প্রোফাইল তৈরি করার
জন্য আপনাকে যে জিনিসগুলো সবসময় মাথায় রাখতে হবে।হলো প্রোফাইলে সুন্দর একটি
প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করা। প্রোফাইলের শিরোনাম এবং ডেসক্রিপশন ভালো ভাবে লিখতে
হবে।
আপনি কি কাজ পারেন কোন স্কিলটি আপনার কাছে সব থেকে ভালো এসব বিষয় আপনি
ডেসক্রিপশন উল্লেখ করে রাখবেন। এবার দিতে হবে পরিচিতি দুই তিনটি
প্যারা লিখে আপনি আপনার সম্পূর্ণ পরিচিতি সেখানে উল্লেখ করে দিবেন। যেন কোন
বায়ার এসে নিরাশ না হয়ে যায়। এবং তার পাশাপাশি আপনার দক্ষতা এবং
প্রটোফোলিও তুলে রাখতে হবে। আশা করি আমার কথাগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে
বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার শেষ কথা
তাহলে এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানতে পারলাম ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এবং
কি কি। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কতটুকু উপকার হয়েছে এবং কেমন লেগেছে তা অবশ্যই
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। এবং আমার লেখার মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে
তাহলে সেটা অবশ্যই আমাকে জানিয়ে যাবেন। এবং আমার আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা অবশ্য
আমাকে জানিয়ে যাবেন।এতে আপনাদের কাছে নতুন নতুন আর্টিকেল লেখা অনুপ্রেরণা বেড়ে
যায়। তাহলে দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততদিন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই
কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।
TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url