১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় - মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় মোটা হওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু ভালো খারাপ রয়েছে। অতিরিক্ত মোটা হলে যেমন নিজের কাছে অস্বস্তি লাগে। তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও দেখতে বেশির অংশ খারাপ লাগে। অনেকে আছেন।
যারা মোটা হতে অনেক কিছু ট্রাই করছে কিন্তু কোন কিছুতেই বেশির অংশ কোন উপকার পাচ্ছেন না। বয়স আর উচ্চতার তুলনায় ওজন কম বা বেড়ে যাওয়ার সমস্যাটা খুবই অস্বস্তি জনক। অর্থাৎ আজকে আমরা আলোচনা করব।১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে এবং মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ নিয়ে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়
- ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
- মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ
- কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি
- খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উপায়
- শরীরচর্চা ও জীবনযাত্রা রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়
- স্বাস্থ্যবান ওজন বাড়ানোর উপায়
- মোটা হওয়ার জন্য কিছু খাদ্যের তালিকা
- খাওয়ার পরেও মোটা না হওয়ার কারণ
- স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াবেন যেভাবে
- অতিরিক্ত চিকন হওয়ার কারণ কি
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় - মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে আমরা চিকন থেকে মোটা হতে পারব কিনা। হ্যাঁ আমরা
অবশ্যই চিকন থেকে মোটা হতে পারবো। কেননা চিকন স্বাস্থ্য এবং আন্ডারওয়ার্ড যেটাকে
আমরা বলি সেটা যেমন আমাদের জন্য অপুষ্টি। তেমনি ওভার ওয়েটও আমাদের জন্য
অপুষ্টি। এই এই দুই অপুষ্টি নিয়ে কিন্তু পুষ্টিবিদরা কাজ করে থাকেন। অনেকেই আসলে
বোঝেন না যে যারা চিকন আছেন তারা আসলে মোটা হওয়ার জন্য কি করতে পারেন।
আবার দেখা যাচ্ছে এমন এমন মানুষ আছে যারা মনে করেন যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে
হয়তো তিনি মোটা হয়ে যাবেন। কখনোই না শুধুমাত্র মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে মানুষ
মোটা হয় না। কিন্তু এই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে মোটা হওয়ার চিন্তাভাবনা করতে
গিয়ে। নিজেই নিজের শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই যে আপনার ওজন
কমান আমার বিষয়টা আপনাকে ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে যে আপনি কোন স্টেজে আছেন।
মোটা হতে হলে বা ওজন বাড়াতে হলে কিছু জিনিস মেনে চলতে হয়। খাদ্য তালিকা তার
মধ্যে অন্যতম ও সবচেয়ে কার্যকারী খাদ্যাভ্যাসের উপর আপনার মোটা ও চিকন হওয়া
অনেকাংশে নির্ভর করে। খাবার থাকলে সহজে ওজন বাড়ানো যায়। নেই তেমনি মোটা হতে
চাইলে ক্যালোরি বাড়িয়ে নিতে হবে আপনার প্রয়োজনের চেয়েও ৪০০-৫০০ এবং ৭০০
ক্যালোরি গ্রহণ করুন।
যদি আপনি দেখতে রোগা কিন্তু ভেতরে আপনার শরীর চাঙ্গা তন্দ্রুছ থাকেচ থাকে।তবে আমি
বলব এর থেকে ভালো কিছু আর হয় না।আর যদি আপনি রোগা প্লাস অনেক দুর্বল একটু একটু
আন্টি লাগে সব সময় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে তবে আমি বলব ভাই আপনি অনেক বিপদে আছেন।
আরেকটা আমাদের সমাজের সমস্যা হল যার ওজন কম রোগা তাকে নিয়ে সবাই ঠাট্টা করে,
স্কুলে বলুন কলেজে বলুন বাসে বলুন নানান জায়গায় কেন ভাই তোদের সমস্যাটা কি রোগা
ছেলে মেয়েরা কি মানুষ না নাকি না বাইরে গ্রহ থেকে এসেছে।
আপনি যদি আমার দেওয়া উপায় গুলো রোজ ব্যবহার করেন তবে আপনি আপনার শরীর ওজন
খুব দ্রুতভাবে বাড়াতে পারবেন। তবে চলুন সেগুলি কি কি জেনে নিন দোস্ত ওজন কে
বাড়ানোর জন্য সবার প্রথমে সবার প্রথমে আপনি নিবেন কাঁচা ছোলা আর খেজুর যদি আপনার
গায়ে একটু মাংস না থাকে শুধু হাড় বেরিয়ে থাকে তবে কাঁচা ছোলা আর খেজুর কে এক
সাতে খান।
ওজন দ্রুত বাড়বে আপনি একমুঠো ভেজানো কাঁচা ছোলা নিবেন দিয়ে তিন থেকে
চারটি খেজুরের সাথে আপনাকে খেতে হবে দুটিকে একসাথে খেলে শরীর আপনার ভরপুর প্রোটিন
পাবে আর শরীরের গঠন দ্রুত হতে থাকবে। আর এটি হচ্ছে একমাত্র ১৫ দিনে মোটা
হওয়ার উপায়।
মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ
আপনারা দ্রুত কিভাবে ওজন বাড়াতে পারবেন আপনার ১৫ দিন থেকে এক মাসের ভেতরে কিভাবে
আপনার দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন। সে পেছনে আজকে দুইটা ওষুধের কথা বলবো যে ঔষধ
খেলে আপনাদের দ্রুত শরীরে ওজন বাড়বে। এবং এই ওজনটা আপনারা এভাবে ধরে রাখতে
পারবেন। কোন শরীরে ক্ষতি হবে না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
ওষুধ খেলে আপনাদের
শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং শরীরের দুর্বলতা দূর হবে
মানসিক শক্তি এবং শরীরের প্রোটিন ভিটামিন এসব চাহিদাগুলো পূরণ হবে পাশাপাশি আপনার
শরীরকে স্মার্ট করবে।
আপনার শরীর খুবই বেশি মোটা হবে না কিন্তু আপনার শরীরকে স্বাভাবিক যে মোটা না হলে
শরীরটাকে মানায় সে ফিট ভাবে আপনার শরীরকে মোটা করবে। এবং আপনার হজম শক্তি
বৃদ্ধি হবে প্লাস আপনার শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে শরীরের রক্তের ঘাটতি
পূরণ হবে এবং ক্যালসিয়াম ভিটামিনের লেখা এগুলো পূরণ হবে। এবং আপনার শরীরের ঘাটতি
পূরণ করে আপনার শরীরকে মোটা করবে।
আপনার যদি ডায়াবেটিক্স থাকে, ইনফেকশন থাকে রক্তে কোন জীবন ভাইরাস থাকে এবং আপনার
যদি থাইরয়েডের কোন প্রবলেম থাকে যদি এসব সমস্যা যদি আপনার শরীর না থাকে তাহলে
আপনার শরীর ও্নার,বিদ্ধি হবেই হবে। আর এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যদি ওষুধগুলো
খান তাহলে ভালো হয় কেননা এসব গুলো থাকলে ওজন বাড়তে চায় না যদি সাদা স্রাবের
সমস্যা থাকে নিয়মিত যাদের না হয় বারবার তাদের মাসিক হয়ে থাকে তারা কিন্তু
শরীর আস্তে আস্তে রোগা হয়ে যায়।
এই সমস্যা আগে আপনাকে মুক্ত করতে হবে তারপর আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। এইসব সমস্যা
ভালো করার পরে আপনাকে যে ওষুধ খেতে হবে তার নাম হলো আলফা আলফা মাদার টিংচার মোটা ও লম্বা হওয়ার ঔষধ দিনে ৩০ ফোটা করে তিনবার খেতে হবে। এবং এই
ওষুধটি খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খাবেন তাহলে এই ওষুধটির ফলাফল খুব দ্রুত পাওয়া
যাবে। এবং এটি কন্টিনিউ তিন মাস খেয়ে যাবেন।
এবং এই ওষুধটি বিদেশি পণ্যটি সবসময় নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং বাংলাদেশের
টা নিলে নিউ লাইফ কোম্পানির টা নিলে ভালো হয়। যদি আপনার বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর নিচে
হয় তাহলে ট্যাবলেক্স ট্রাম গোল্ড এ ওষুধটি খাবেন। এবং
আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই ঔষধটার পাশাপাশি
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবেন। আপনি এই ওষুধটি একটানা তিন মাস খাবেন যদি আপনার
শরীরে অন্য কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে।
কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি
আমাদের অনেকেরই একটি কমন প্রশ্ন থাকে কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি। মোটা
হওয়া বলতে সাধারন বেশি ওজন এবং স্বাস্থ্য রক্ষা ভাবে মোটা হওয়াকে বলে। ওজন
বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্য খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পোস্ট দিয়ে
নয় সেই পরিমাণ ক্যালরি এবং পুষ্টিকর এবং সঠিকভাবে শারীরিক প্রভাবিত হয় যেন তার
নিশ্চিত করতে হবে।
কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি মোটা
হওয়ার জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হল উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া
যেমন ধরুন। মাংস , ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত্ত খাবার, বাদাম ও চিজ, স্নে, ভিটামিন ও
মিনারেল সিমৃদ্ধ খাবার।
- মাংসঃ গরু মুরগি মাটন ইত্যাদি মাংসে উচ্চ পরিমাণ প্রয়োজন থাকে। এটি আপনার শরীরে উচ্চ ক্যালরি দিতে সাহায্য করে।
- ডিমঃ ডিম একটি চমৎকার প্রোটিনযুক্ত খাবার। এরে থাকা ফ্যাট আপনার ক্যালরির ইন্টার্ন বাড়াতে সাহায্য করে তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন দিনে দুই থেকে তিনটা করে ডিম খেতে। সেটি আপনার যেকোনো সময় হতে পারে। এই জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলুন।
- দুধ ও দুগ্ধজাত্তঃ গরুর দুধ দই ইত্যাদি এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। এগুলো আপনার ওজন বাড়াতে কার্যকরী। তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন সকালে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে। এতে আপনার ওজন আরো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
- বাদাম ও চিজঃ আখরোট কাজুবাদাম পেস্তা এবং চিজ যুক্ত খাবার খেলে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ৯৯ শতাংশ। এগুলো যে থাকা ক্যালরী এবং ফ্যাট আপনাকে খুব দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
- মিষ্টি যুক্ত খাবারঃ মিষ্টি যুক্ত খাবার যেমন চকলেট পেস্টি কেক ইত্যাদি। খাবারগুলোতে অনেক ক্যালরি থাকে এবং এগুলোতে অনেক ফ্যাট ও বেশি থাকে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন মিষ্টি যুক্ত খাবার খেতে কিন্তু অতিরিক্ত না খাওয়াটাই ভালো।
- ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি ফলমূল কলায় হাবিজাবি ইত্যাদি। এই সকল খাবারগুলোতে অনেক পুষ্টি প্রদান করে। ফলে আপনার মোটা হওয়ার চান্স আরো কয়েক শতাংশ বেড়ে যাবে।
খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উপায়
খাদ্যের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবে না। আপনি
শুধু আপনার যে সকল খাবার পছন্দ সেই সকল গুলো আপনার খাদ্যের তালিকার ভিতরে রেখে
দিবেন। কিন্তু আপনি সেই সকল খাবার রান্নার ক্ষেত্রে মসলা ও তেল একটু বেশি ব্যবহার
করতে হবে।
এতে হবে কি মসলা ও তেল এ দুটোতেই কিন্তু অনেক ধরনের প্রোটিন
থাকে এবং খুব বেশি ফ্যাট থাকে। এর পরে ফলে আপনার শরীরের মাংস বেশি খুব দ্রুত
বৃদ্ধি পেতে থাকে। খাদ্য তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কি কি করা লাগবে তা নিচে
দেওয়া হলঃ
- মসলা ও তেল ব্যবহার
- প্রোটিন শেকস
- বড় অংশের খাবার খাওয়া
১. মাসলা ও তেল ব্যবহারঃ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ও মসলা ব্যবহার করুন।
আপনি এমন তেল ব্যবহার করুন যে তেলে চর্বির সংখ্যা বেশি। এতে আপনার ক্যালরি
বৃদ্ধি পাবে।
২.প্রোটিন শেকসঃ প্রোটিন শেকস যা বাজারে গিয়ে আপনি বিভিন্ন স্বাদের
কিনতে পারবেন। এবং এটি বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায়। আপনি এটি যে কোন টি
ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো সাধের। এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন
সাদ এর খেতে চান।
৩.বড় অংশে খাবার খাওয়াঃ তিনটি বড় খাবারের পরিবর্তে ৫ থেকে ৬ বার
ছোট ছোট খাবার খান। এতে আপনার ওজন বাড়ানোতে সাহায্য করতে পারে। এবং এটি
একমাত্র ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়।
শরীরচর্চা ও জীবনযাত্রা রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়
শরীর চর্চা ও জীবনযাত্রার মাধ্যমে রোগা থেকে মোটা হওয়ার কিছু সহজ
উপায় রয়েছে। মোটা হওয়ার জন্য সঠিক খাদ্য অভ্যাসের পাশাপাশি শরীর চর্চাটাও
জরুরী। দেখা যাচ্ছে যদি আপনি শরীর চর্চা না করেন। তাহলে অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে
আবার সমস্যা আপনার হয়তো কেউই চাইবেন না যে অতিরিক্ত মোটা এবং অতিরিক্ত চিকন
হতে। তাই অবশ্যই শরীর চর্চা করাটা জরুরী। শরীর চর্চা করার জন্য রয়েছে তিনটি
দিকঃ
- ওজন উত্তোলন
- কার্ডিও ব্যায়াম
- নিশ্চিন্ত পর্যাপ্ত বিশ্রাম
১.ওজন উত্তোলনঃ নিয়মিত ওয়েট ফিট আপনার মাসল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এবং
এতে আপনার যে সকল খাবার খান সে সকল খাবারের ক্যালরি সঠিকভাবে যুক্ত হতে
সাহায্য করবে।
২.কার্ডিও ব্যায়ামঃ মৃদু কার্য ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি এবং সাইক্লিং। আপনার
সামগ্রিক স্বাস্থ্যতা ঠিক রাখার জন্য সাইকলিং এবং হাটাহাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আপনার খাদ্যের ক্যালোরি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
৩.নিশ্চিত পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ আপনার শরীর ঠিক রাখার জন্য আরেকটি দিক হচ্ছে
সঠিকভাবে ঘুমানো। প্রতিদিন রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এতে
আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা আরও কিছু পারসেন্ট বেড়ে যাবে।
স্বাস্থ্যবান ওজন বাড়ানোর উপায়
মোটা হওয়ার জন্য সঠিক ভাবে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। না হলে ভাই আপনি
মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দিন। কারণ আপনার খাদ্যের তালিকায় প্রোটিন ফ্যাট
এবং কার্বন-হাইডেট এর সমৃদ্ধ মিশ্রণ থাকা অত্যন্ত জরুরি। এবং স্বাস্থ্যবান
ওজন বাড়ানোর জন্য ধৈর্য এবং সুস্থ জীবনযাত্রা বজায় রাখা কিন্তু খুবই
দরকারি। তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার খাদ্যের তালিকার ভিতরে ফ্যাট
যুক্ত খাবার এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার যেন বেশি হয়।
যেমন মাছ ডিম মাংস দুধ এবং ডাল কঠিন এর ভরপুর একটি উৎসব আপনি চাইলে এসবও খেতে
পারেন। এছাড়াও কার্বন-হাইডেট যুক্ত খাবার খাইতে পারেন যেমন ভাত রুটি পাস্তা এবং
আলো থেকে উচ্চ মানের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা সম্ভব। এবং তার সাথে ভিটামিন
ও মিনারেল যুক্ত শাকসবজি খাওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কলা আপেল গাজর এবং
পালং শাক আপনার শরীরে পরিমাণ মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল প্রদান
করবে। এটি হলো একমাত্র স্বাস্থ্যবান ওজন বাড়ানোর উপায়।
মোটা হওয়ার জন্য কিছু খাদ্যের তালিকা
মোটা হওয়ার জন্য কিছু খাদ্যের তালিকা করে দিলাম এই খাবারগুলো খেলে
আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। কারণ এই খাবারগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
ক্যালরি এবং ফ্যাট। এগুলো আপনার শরীরে মাংসপেশি এবং চর্বি বাড়াতে সাহায্য
করবে।
- বাদাম
- মাছ
- ডিম
- দুধ ও দই
- অভোকাড
- প্রোটিন শেখ
- শাকসবজি
- ফল
- পুষ্টিকর তেল
- কলা এবং ত্বকের সঙ্গে কমলা
আরো পড়ুনঃপাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমনঃ
- বার্গার
- পিৎজা
- চাওমিন
- চিকেন রোপেয়াজা
- নুডুলস
- কেক
- পেস্ট্রি
এগুলো আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ক্যালোরি এবং ফ্যাট
দেবে। এগুলো খাওয়ার ফলে আপনি অতি দ্রুত মোটা হতে থাকবেন। কিন্তু এই
জিনিসগুলো অতিরিক্ত না খাওয়াটাই উচিত। আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন এই
খাবারগুলো মাঝামাঝি সাইজে খাওয়া। এতে আপনি ফলাফল খুব দ্রুত পাবেন।
খাওয়ার পরেও মোটা না হওয়ার কারণ
খাবার পরেও মোটা না হওয়ার কারণ আপনার শারীরিক গঠনের ভূমিকা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কিছু মানুষের জেনেটিক্যালি প্রবলেম থাকতে পারে এবং কিছু মানুষের
মোটালিজমের হার এবং চর্বি চঞ্চল ক্ষমতা তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি
হচ্ছে খাবার পরেও মোটা না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এবং কিছু কিছু মানুষের
অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও থাকতে পারে। যে সকল সমস্যা গুলোর কারণে খাওয়ার পরেও
মানুষ মোটা হয় না সেই সকল সমস্যা কিছু নিচের দিয়ে দিলামঃ
- বংশগত কারণ
- মোটালিজমের হার
- পেসির পরিমাণর
- খাবারের ধরন ও পরিমাণ
- শরীরের হরমোন
- জীবনযাত্রার অভ্যাস
- পানীয় হাইড্রেশন
- মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব
- বয়সের প্রভাব
খাওয়ার পরেও মোটা না হওয়ার পিছনে নানা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তার মধ্যে এই
কয়টি রয়েছে প্রয়োজনীয় যে কয়টি ছিল আমি সেই কয়টি এখানে দিয়ে দিয়েছি।
এই জিনিসগুলো পরিবর্তন করতে পারলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াবেন যেভাবে
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর কয়টি সঠিক রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমত হলো
পুষ্টিকর খাবার পুষ্টিকর খাবারের রয়েছে প্রোটিন প্রোটিন স্বাস্থ্য চর্বি
এবং হাইবক্সাইড সমৃদ্ধ যুক্ত খাবার। যেটি খেলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে
পারবেন। আপনার দৈনন্দিন খাবারের পরিমান বাড়ান। এবং দিনের তিন বেলা খাবারের
পাশাপাশি মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্যকর স্নেক খান। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর
কয়টি সঠিক উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
- পুষ্টিকর খাবার খান
- বেশি পরিমাণে খাবার খান
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
- মিনারেল ওয়াটার পান করুন
- উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খান
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- প্রাণশক্তি ও রেস্ট করুন
- ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর ট্রাই করুন
- এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খান
আপনাদের পছন্দ হবে এমন আরো পোস্টার তালিকা
এই সকল পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে স্বাস্থ্যকর ভাবে আপনার ওজন বাড়তে শুরু করবে।
আর এই সকল পদক্ষেপগুলোতে কোন সাইড ইফেক্ট নেই।
কিন্তু অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। আর এটি হচ্ছে ১৫ দিনে মোটা
হওয়ার উপায়।
অতিরিক্ত চিকন হওয়ার কারণ কি
অতিরিক্ত চিকন হওয়ার কারণ অতিরিক্ত চিকন হওয়ার পিছনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের
কারণ। সেটা আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা হতে পারে কিংবা শারীরিক সমস্যা হতে
পারে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার দিক দিয়ে কিছু সাধারন কারণ নিচে উল্লেখ
করা হলোঃ
- জেনেটিক্স এর সমস্যা
- খাবারের অভাব
- ঘন ঘন রোগ বা অসুস্থতা
- পাচনতন্ত্রের সমস্যা
- মোটাব্লিক ডিসঅর্ডার
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম
- ঔষধের প্রতিক্রিয়া
যদি আপনি অতিরিক্ত চিকন অনুভব করেন। এবং আপনি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ
জনক হয়ে উঠেছে। তবে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ঔষধ গ্রহণ করতে
হবে এবং তার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আর এটি হচ্ছে ১৫ দিনে মোটা
হওয়ার উপায়।
আমার শেষ কথা
মানুষ অতিরিক্ত চিকন হলেও সমস্যা আবার অতিরিক্ত মোটা হলেও সমস্যা। অতিরিক্ত চিকন
হলে যেমন সব জায়গা থেকে কথা শুনতে হয় তেমনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে
শারীরিকভাবে নিজের কাছে অস্বস্তি মনে হয়। এই আর্টিকেলটিতে আমি সেই সকল সমস্যার
সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো তা অবশ্যই
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন।
এমন ধারণা নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন সব সময়। তাহলে দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে আশা করছি
আমাদের নতুন পোস্টের জন্য আপনার অপেক্ষা করবেন। ততদিনে সুস্থ থাকুন ভালো
থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url