আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪

আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা,আসলে এটি কি। আর আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ৯৯ শতাংশ লোক এটিকে নেওয়ার সঠিক উপায় জানেনা।

আপেল-সিডার-ভিনেগার-এর-উপকারিতা-ও-অপকারিতাতাই এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাকে বলব অ্যাপেল সাইডের ভিনেগার আসলে কি।আর এর কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং কি কি অপকারিতা রয়েছে এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নেওয়ার সঠিক নিয়ম। আশা করি আর্টিকেলটির পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃআপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪

আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আপেল সিডার ভিনেগার এটি হিমালয়ের শুদ্ধ আপেল দিয়ে বানানো তাই এটা কি আপনি বলতে পারেন ন্যাচারাল অ্যাপেল জুস। পিওর মাদার ভিনিগার হয় আর এর কোয়ালিটি ও বেটার যদি আপনি এদিকে  হিলিয়ে দেখেন তবে এর ভেতর আপনি ছোট্ট ছোট্ট দানার মত দেখতে পাবেন। এটা এতটাই ন্যাচারাল আর এটাই  পরিচয় প্রাকৃতিক হওয়ার।

আর আর এটার উপকারিতা বলবার আগে জানিয়ে দিই। আপেল সিডা  এটি আসলে অ্যাপেলের থেকে তৈরি একপ্রকারের জুস অ্যাপেলকে গা জ্বি মানে ফার্মেন্ট করে সাধারণ ভাবে তৈরি করা হয়। এবার জেনে নিই আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা এর  ব্যাপারে।

১।স্কিনের জন্য উপকারীঃ যদি আপনার মুখে ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে এবং মুখে দাগ পড়ে থাকে। তাহলে আপনি একটা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং এক চা চামচ পানি ব্যবহার করুন। এবং সেটি আপনার স্কিনের উপরে লাগান এতে আপনার ব্রণ এবং দাগ দুইটাই ভালো হয়ে যাবে।

২।ওয়েট লসঃ আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার সব সময় ঘরে বসে ওজন কমানোর জন্য করা হয়। এটি আপনার পেটের চর্বি কেটে ফেলে এবং নতুন চর্বি তৈরি হতে দেয় না।

৩।হজম শক্তি ঠিক রাখেঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এটি আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। এবং আপনি কিছু খাবার সঙ্গে সঙ্গে সেটি হজম করতে সাহায্য করে। এবং সেই খাবারের পুষ্টিটা আমাদের শরীরে সঠিকভাবে লাগে।

৪।চুলের যত্নঃ যদি আপনার চুলে খুশকি থাকে তাহলে এই আপেল সিডার ভিনেগার আপনার প্রবলেম এক নিমিষে সলভ করে দিবে। আপনার মাথার খুশকি দূর করতে এক চা চামচ ভিনেগারের সাথে একটু পানি মিশে মাথার চুলে লাগান। এতে আপনার মাথার খুশকি পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে।

৫।ডায়াবেটিক্সঃ আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা একটু বেশি হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার ডায়াবেটিকস কন্ট্রোলের সাহায্য করে। যদি আপনার ডায়াবেটিক্স বেশি সমস্যা করে এবং আপনার সুগার লেভেল বেড়ে গিয়ে থাকে। তাহলে আপনি আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার সুগার লেভেল এবং ডায়াবেটিস দুইটাই কন্ট্রোলে চলে আসবে।

৬।এসিডিটিঃ যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে মানে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আপেল সিডার ভিনেগার আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। কারণ আপেল সিডার ভিনেগার এসিডিটি নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী। কিন্তু আপেল সিডার ভিনেগার এসিডিটি ভালো করার জন্য খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে। তাহলে এটার কার্যকারিতা খুব দ্রুত পাবেন।

আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম

আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত এতক্ষণ আমরা জানতে পারলাম। কিন্তু এখন আমরা জানবো কি করে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে হয় বা খাওয়ার নিয়ম। আপেল সিডার ভিনেগার খাবার আগে আপনার কয়টা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে। যদি আপনি আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন।

তাহলে আপনাকে অ্যালকোহল ব্যবহার করা যাবে না। এবং আপনার যদি কোন প্রকার ঔষধ বা কোন অসুখ হয়ে থাকে বা আপনি এখন পর্যন্ত ওষুধ খান। তাহলে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং আপেল সিডার ভিনেগার বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখবেন।আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম, আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করার সময়।

 5 থেকে 10ml এক গ্লাস জলে মিশান এরপর এক চা চামচ মধু যোগ করতে পারেন যেন এটি খেতে আরো সুস্বাদু হয়ে ওঠে। এবং এটি খাবার সময় খালি পেটে খাবেন। এবং আপনি যদি সকালবেলা খাবার একটু আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান। তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী হবে। এটি আপনার শরীরকে কোলেস্টেরলের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এবং এটি হচ্ছে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম।

ঘরোয়া উপায়ে আপেল সিডার ভিনেগার তৈরির পদ্ধতি

তারপর ভিনেগার তাও আবার উইথ মাদার এই শব্দগুলো কিভাবে হলো এর মানে জানেন না জানলে আমার সাথে থাকুন আমি আজ দেখাবো কিভাবে আপেল থেকে সিডার তৈরি হবে। মাদারসহ আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার সম্পর্কে আমি জেনেছি আরো বছর খানিক আগে। এর যে এত গুনো গান তা বলে শেষ করা যাবে না। এটা খেয়ে যেমন শরীর কারো সতেজ করা যায় তেমনি রূপচর্চায় এটি অতুলনীয়।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি তখন আমার আশেপাশে এলাকাগুলোতে খুঁজে আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার পাইনি তো বাধ্য হয়ে আমি এটি কিভাবে ঘরে তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে রীতিমত গবেষণা শুরু করলাম। আমি বিদেশী বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এটা সঠিকভাবে তৈরি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নেই আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে ঘাটাঘাটি করে আমি যা বুঝলাম বাজারে যেসব ভিনেগার পাওয়া যায় তার অধিকাংশের র আপেল সিডার ভিনেগার না।

অধিকাংশ গুলোই তৈরীর সময় পরিশোধিত যার ফলে কিন্তু এগুলো থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না।তাই আমি ভালোভাবে এই সম্পর্কে জেনে র আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার পারফেক্টভাবে ঘরে তৈরি করি। গত ছয় মাসে আমি এটি ঘরে বেশ কয়েকবার তৈরি করেছি আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে আমার সব অভিজ্ঞতা দিয়ে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করি।

এটা হয়তো অনেকে উপকৃত হবেন এবং একেবারে পারফেক্টভাবে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার চলুন শুরু করা যাকঃ আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার তৈরি করতে প্রথমে আমাদের লাগবে আপেল অবাক করার তথ্য হলো পৃথিবীতে কয়েক হাজার রকমের আপেল রয়েছে তো আপনারা কোন আপেল ব্যবহার করবেন এক কথায় বলে দেই আপনারা যে কোন আপেল দিয়ে ভিনেগার তৈরি করতে পারবেন।

এখানে আমি কিছু আপেল নিয়েছি তবে আপেল গুলো হতে হবে অর্গানিক বা যেকোনো ধরনের বিষমুক্ত সকলেই জানেন আমাদের দেশের ফরমালিনের কথা শোনা যায় বিভিন্ন ফলে ব্যবহার করতে। সকল প্রকার বিষমুক্ত করে নেব আমি একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়েছি পানিতে আমি এক চা চামচ পরিমাণ হোয়াইট ভিনিগার দিয়ে দিব। এরপর আমি আপেলগুলো ভালোভাবে এ পানিতে ধুয়ে নিব আমি আজ দুইটা আপেল দিয়ে ভিনেগার তৈরি করব। সে দুইটা আপেল ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং এগুলো আমি 15 মিনিট ভিজিয়ে রাখবো এ পানিতে।

আমি আজ আপনাদের সাথে অনেক তথ্য শেয়ার করব আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার তৈরি সম্পর্কে নামটা কিভাবে এলো জানেন আপেল তো আপনারা সবাই জানেন। তাহলে আপেল পরের শব্দ সিডার আপেল থেকে হবে সিডার এটা কি তাই একটু পরে আপনাদের দেখাচ্ছি ভিনেগার কি তাও দেখাবো এবং মাদারও দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দিব। যদি একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে আপনারাও ঘরেই তৈরি করতে পারবেন আপেল সিডার ভিনেগার। এটি তৈরি করতে খুব বেশি উপকরণ লাগে না মাত্র দুটি উপকরণ দিয়ে তৈরি হবে।

একটু সময় নিয়ে যদি ভিনেগারটি তৈরি করতে পারেন তাহলে আসল আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারটা পাবেন আর আমি এই আর্টিকেলটিতে আপেল সিডার ভিনেগারের সব দিক তুলে ধরার চেষ্টা করব। তারপরও আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে যায় তবে আমাকে কমেন্টে জানাবেন আমি সাথে সাথে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। আপেলগুলো কাটা হয়ে গেছে দেখুন আমি এভাবে কেটেছি আপেলের কোন অংশ ফেলে দেওয়ার দরকার নেই।

এখন আমাদের যেটা লাগবে তা হচ্ছে একটা কাঁচের জার এখানে কাচের জারি ব্যবহার করতে হবে দ্বিতীয় কোন অপশন নেই জারটি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এখন আমি আপেলের টুকরাগুলো যারে নিয়ে নিব একে সবগুলো টুকরা আমি যারে নিয়ে নিচ্ছি। দেখুন সবগুলো আপেলের টুকরা আমি যারে ভর্তি করেছি। তবে খেয়াল রাখতে হবে একেবারে পুরোপুরি ভর্তি করা যাবে না উপরে একটু যাতে খালি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

এখন যারে আমি পানি দিব পানিটা দিতে হবে ঠান্ডা ও একেবারে বিশুদ্ধ পানি কলের পানি সরাসরি সরাসরি ব্যবহার করবেন না। এবং সেটি ট্যাবের পানি অথবা টিউয়েলের পানি সরাসরি ব্যবহার করবেন না। আপেলে পানি দেয়ার পর আমি পানিটা  আপেলের যতটুকু নিয়েছি ঠিক তার লেভেল বরাবর দিয়েছি। জারের উপর থেকে পানি লেভেলটা প্রায় এক ইঞ্চি নিচে রয়েছে অর্থাৎ উপরে কিছুটা ফাঁকা রাখতে হবে।

এরপর বোতলের মুখটি শক্ত করে কেটে নিতে হবে। এবং দুদিন যাবত সেভাবে রেখে দিতে হবে।দুইদিন পর ফিরে এলাম প্রথমে টিস্যু টা খুলে নিচ্ছি কারণ প্রতিদিন বা অন্তত দুদিন পরপর যারে ছোট চামচের একটু করে চিনি দিতে হবে এতে কি হবে যারে কোন ধরনের ফাঙ্গাস ধরবে না। অন্তত দুদিন পরপর নাড়াচাড়া না করলে কিন্তু পাঙ্গাস পড়ে যাবে না এখন  আমি এক চামচ চিনি দিয়ে আবারো কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিবো ।

এরপর আপনাকে চিনি ব্যবহার করতে হবে। এবার আসি চিনি দেয়ার পরও ডায়াবেটিস রোগীরা এটি খেতে পারবে কিনা। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা হচ্ছে চিনি কিন্তু শেষ পর্যন্ত থাকে না আপেলের খোসায় এক ধরনের ইস্ট থাকে। চিনি থাকে না বলে কিন্তু আপেল সিডার ভিনেগার খেতে টক স্বাদের হয়ে থাকে সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি নিয়ে ভয় পাবেন না।

এরপর আপনাকে যাওয়ার টি তিন সপ্তাহ ধরে রেখে দিতে হবে।চলুন দেখি কি হলো এখন তিন সপ্তাহ পরে আপনি আস্তে করে জারের মুখটি খুলুন। প্রথম দুই সপ্তা আপনাকে দুদিন অন্তর অন্তর চিনি ব্যবহার করতে হবে আর দ্বিতীয় সপ্তাহ এটা রেস্টে রাখতে হবে কোন চিনি দেয়া যাবে না কোন নাড়াচাড়াও করা যাবে না।এখন আপনি যদি দেখেন ,আপেল গুলো নরম হয়ে গেছে আপেল পানি ও চিনি ফারমেন্টেশন এর মাধ্যমে যা তৈরি হল তা হচ্ছে সিডার।

 অর্থাৎ হলদেটে যে রসটা সেটাকে সিডার বলে। এখন এজারের রস টি সেঁকে দিতে হবে। আপনি একটি বাটি ব্যবহার করতে পারেন এবং একটি চাকুনের মাধ্যমে সেই রসটি ছেঁকে নিন। এবং সেটি একটি ভালো বোতলে রাখুন।ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার আপেল সিডার ভিনেগার। আমি এখানে আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই বলে দিয়েছি।

আপেল সিডার ভিনেগার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এতসব উপকারিতা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ও অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে কিছু পাসপোর্ট প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু এতে আপনার চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হালকা ধরনের এবং খুব সহজেই এর প্রতিকার করা যায়। আমি আপনাকে এখন জানাবো আপেল সিডার ভিনেগারের কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সেগুলো কিভাবে প্রতিরোধ করবেন।

আপেল সিরা ভিনেগারের প্রথম যে পাসপোর্ট প্রতিক্রিয়া সেটি হচ্ছে আপনার দাঁতের এনামেল কে দুর্বল করে দেয়। আপেল সিডার ভিনেগারের উচ্চমাত্রা এসিডিটি উপাদান থাকে যদি আপনি এটি খুব ঘন ঘন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার দাঁতের এনামেলকে দুর্বল করে দিতে পারে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য আপেল সিডার ভিনেগার আপনি পানির সাথে পান করুন। এতে আপনার দাঁতের কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

আপেল সিডা ভিনেগার যেমন আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। তেমনি অতিরিক্ত আপেল সিডার ভিনেগার খেলে আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত আপেল সিডার ভিনেগার সেবন করলে সেটি আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এটি প্রতিরোধ করার জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া বা সেবন করা একটি নিয়ম তৈরি করে ফেলুন এবং খুব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

তারপর রয়েছে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা এবং হাড়ের গ্রহনত্ব কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত আপেল সিটা ভিনেগার সেবন করলে আপনার মাংসপেশী এবং হার্ট দুর্বলতা থাকে। আপনি যদি নরম মাংস বেশি এবং শরীর দুর্বলের রোগী হন তাহলে আপেল সিডার ভিনেগার আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি যদি তবুও এটি খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আপেল ফিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন সব থেকে বেশি। তেমনি কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনেগার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি কোন রোগী হয়ে থাকেন বা অন্যান্য কোন রোগে ভুগছেন। তাহলে আপেল ছিডার ভিনেগার খাবার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

আপেল সিডার ভিনেগার ১৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপেল সিডার ভিনেগার এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আমি উপরে কথা বলেছি আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এবং আপেল সিডার ভিনেগারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
আপেল-সিডার-ভিনেগার-১৫-স্বাস্থ্য-উপকারিতা
এখন আমি আপনাদের সামনে ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা উল্লেখ করার চেষ্টা করব।যদি এই স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো বলতে গিয়ে আমার কোন জায়গায় ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তা আমাকে জানাবেন।
  1. স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
  2. চুলের জন্য উপকারী
  3. ত্বকের জন্য উপকারী
  4. ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
  5. হজম শক্তি বাড়ায়
  6. মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে
  7. শারীরিক কোনো অস্বস্তি থাকলে সেগুলো কমে যায়
  8. ঘুমের সমস্যা
  9. খুশকির সমস্যা
  10. কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে
  11. স্কিনের জন্য উপকারী
  12. শরীলের দুর্বলতা কাটাই
  13. খিদে বাড়ায়
  14. ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ
  15. ওজন কমিটির সাহায্য করে

আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো

আপেল ফিডার ভিনেগার বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের নাম দিয়ে তৈরি করে থাকেন। এবং তিনারা সকলে দাবি করেন যে তাদেরটা প্রাকৃতিক। অনেক মানুষ আছে বুঝতে পারে না যে কোনটা আসল কোনটা নকল। আমি আপনাকে যে আপেল সিডার ভিনেগার টি সাজেস্ট করব। সেটি আপনার জন্য ভালো হবে এবং এটার প্রাইজও ্কম।

এমন এমন সময় আসে  মানুষ মনে করেন যে বেশি দামের ঔষধ নিলে হয়তো বা গুণমানটাও বেশি হবে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তেমন না ওষুধের দাম দেখে ওষুধ নিলে তো হবে না। আপনাকে দেখতে হবে কোনটা প্রাকৃতিক এবং কোনটা অপ্রকৃতি। কিছু কিছু ভিনেগার প্রাকৃতিকভাবে ভাষাতে তৈরি করা যায়। এবং কিছু কিছু ভিনেগার ভেজাল যুক্ত যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কোনটা নিবেন। আপেল সিডার ভিনেগার আপনি নিতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা। এবং এর ঘনত্ব টা অনেক। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপেল সিডা ভিনেগার তৈরি করে এবং আপেল সিরা ভিনেগার উইথ মাদার দুইটার মাঝে আপনি কোন পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। এবং এটি ব্যবহার করে আপনার জন্য উপযোগী হবে।

আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়

আপেল সিডার ভিনেগার কখন কখন এবং কি করে খাওয়া উচিত। দেখুন আপেল সিরা ভিনেগার খাওয়ার কোন সঠিক নিয়ম নেই। আপনি আপেল সিরাবিনেগার যখন খুশি তখন খেতে পারেন। কিন্তু আপেল সিডার ভিনেগার কখন কিভাবে খাবেন তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ করতে পারেন। এটা আপনি কার্যকারিতা ভালো পাবেন।

আপেল সিডার ভিনেগার আপনি সকালবেলা বাসি পেটে খেতে পারেন। এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। এবং আপনার পেট পরিষ্কার হতে সাহায্য করবে। আপনি রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে খেলে ভিনেগারটি সঠিকভাবে শরীরে প্রয়োগ হতে পারে। ফলে আপনার রাতের ঘুম ঠিক মত হবে এবং শরীরে ক্লান্তি তো দূর হয়ে যাবে।

এমন ভাবে আপনি আপনার আপেল সিডার ভিনেগার খাবার রুটিন তৈরি করতে পারেন। এবং প্রতিদিন যদি একই ভাবে খেতে থাকেন তাহলে দেখা যাচ্ছে কয়েক মাসের ভিতরে আপনার শরীরের সকল রোগ ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি আপনি আমার কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনার বুঝতে কোন জায়গায় সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার খেলে কি হয়

আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার খেলে কি হয়। আপনার হয়তো এটা মনে রাখা উচিত আপেল সিডার ভিনেগার একটি ঔষধি জাতীয় জিনিস। গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখা উচিত। কিন্তু এমন এমন সিচুয়েশনে পড়তে হয়। যখন আপেল সিডা ভিনেগার খেতে খাওয়া লাগতে পারে।

সেক্ষেত্রে আপনি অভিজ্ঞ একটি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু আসলে এটি কাঁচা বা পচা অবস্থায় পাওয়া যায় সে কারণে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে পেটের ভিতর ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে আমার মতে গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার না খাওয়াই উচিত। এখন আপনি যদি গর্ভাবস্থায় আপেল সিডার ভিনেগার খেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।আর জিজ্ঞাসা করুন আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

আপেল সিডার ভিনেগার রান্নাই উপকারিতা

আপেল সিডার ভিনেগার খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার খাবারের সাত বাড়িয়ে তোলে। এর খটখটে টক স্বাদ রান্নার একটি বিশেষ ফ্লেভার আনে। নে যা খেতে আপনার অনেক সুস্বাদু মনে হবে। এটা বিশেষ করে সালাদ ডেসিং মেরিডেন্ড এবং স্যুপে বেশি ব্যবহার করা হয়। মাংস মেরিডান্ট এটি মাংসকে নরম করে তুলতে সাহায্য করে।আপনি যদি বাসায় মাংস রান্না করেন।

তাহলে আপনি আপেল ছিটা ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মাংসের স্বাদ অনেক বেড়ে যাবে এবং মাংস নরম হয়ে উঠবে ফলে তরকারিতে অনেক সুস্বাদু এবং টক ঝাল হয়ে উঠবে। অর্থাৎ আপেল সিডার ভিনেগার আপনি রান্নাই সাদ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপেল সিডার ভিনেগার রান্নায় সাত বাড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। এক থেকে দুই চা চামচ ব্যবহার করুন। এতে আপনার তরকারির স্বাদ বজায় থাকবে।

লিভারের যত্নে আপেল আপেল সিডার ভিনেগার

লিভারের যত্নে আপেল সিডা ভিনেগার এর উপকারিতা অনেকগুলো রয়েছে। যারা যারা আজ পর্যন্ত আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে আসছেন। তাদের লিবার্টি খুব সুন্দর এবং স্বচ্ছ থাকবে এবং জীবাণুমুক্ত থাকবে। এছাড়াও আপেল সিডার ভিনেগারের অনেকগুলো গুণ রয়েছে লিভারের যত্নে। আজকাল মানুষ বাইরে যে সকল ফলমূল খায় দেখা যাচ্ছে সে সকল ফর্মুলা অতিরিক্ত ফরমালিন থাকে। সেটাতে আপনার লিভারের সমস্যা এবং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে লিভারের যত্নে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে হবে । এতে আপনার অনেক উপহার হবে  যেমনঃ
  • ডিপ্লিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উন্নত করে
  • রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
  • চর্বি কমাতে সাহায্য করে
  • হজমের উন্নত গ্যাসের সমস্যা কমায়

আপেল সিডার ভিনেগার খাবার ক্ষেত্রে সর্তকতা

আপেল সিডার ভিনেগার এটি এমন একটি ওষুধ যেটি কোন কিছুর সঙ্গে না মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া যাবেনা। 
আপেল-সিডার-ভিনেগার-খাবার-ক্ষেত্রে-সর্তকতা
এতে আপনার সমস্যা হতে পারে। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে যদি সরাসরি না খায় তাহলে খাবো কিভাবে। আমি এখন আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপেল সিডার ভিনেগার খাবেন সতর্কতা অবলম্বন করে।

১। আপেল সিডার ভিনেগার সরাসরি গিলে খাওয়া যাবেনা। ঠান্ডা অথবা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান।

2। অ্যালকোহল জাতীয় কোন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যাবে না। কিন্তু লেবু জাতীয় জিনিসের সঙ্গে খেতে পারেন।

৩। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় ৫ মিলি নিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

৪।দীর্ঘ সময় ধরে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার রুটিন থাকলে। মাঝে মাঝে খাওয়া বাদ  না দেওয়াটাই ভালো ।

আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে আমার শেষ কথা

এতক্ষণ আমরা জানতে পারলাম আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পুরো পোস্ট পড়ে যদি আপনার কোন জায়গায় আমার ভুল ত্রুটি হয়েছে বলে মনে হয়। তাহলে আপনি অবশ্যই আমাকে সেটি কমেন্ট বক্সে জানিয়ে জাবেন। এবং সবার প্রথমে পোষ্টের নোটিফিকেশন পেতে বেল বাটনটিতে চাপ দিয়ে ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে দিন। এটা কি হবে আমি যখন নতুন একটি পোস্ট করব সবার প্রথমে আপনার কাছে নোটিফিকেশন যাবে। আশা করছি আমার সকল কথা আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততদিনে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url