ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে - ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে ? আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে ভাইরাস জ্বর আসলে কতদিন থাকে। এবং আসলে এই ভাইরাস জ্বর কি হয় কি কারনে।এবং ভাইরাস জ্বর হলে কি কি করলে ভাইরাস জ্বর ঠিক হয়ে যাবে।

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকেঅল্প থাকতে ভাইরাস জ্বর ঠিক না করলে সেটি কোন বড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব। ভাইরাস জ্বর আসলে কতদিন থাকে। এবং ভাইরাস জ্বর হলে আপনি কি কি করবেন। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে 

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ভাইরাস জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের বেশি থাকে না। এবং ভাইরাস জ্বর যদি পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি হয়ে যায়। তাহলে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর বেশিরভাগ মানুষের এসব জ্বর হয়ে থাকে মশার কামড়ে। ডেঙ্গু জ্বর হঠাৎ করে হয় এবং সেটি থাকতে থাকতে ভাইরাস জ্বরে পরিণত হয়। এই জ্বরটা যখন হয় তখন দেখবেন যে হঠাৎ করে।

গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হবে এবং মাথায় যন্ত্রণা এবং সর্দি কাশির লক্ষণ দেখা দিবে। এবং সময় সময় দেখবেন যে চোখ এদিক ওদিক নাড়াতে গেলে চোখের ভিতরে ব্যথা করে। তখনই আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার কোন কারণবশত জ্বর আসছে। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে কিছু কিছু মানুষের এসব জ্বর আসলেও সর্দি এবং মাথাব্যথা এবং গলা ব্যথা কোনটাই থাকে না।

এবং তারা কিছু বুঝতে না পেরেই বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। তারা যখন নরমাল ভাবেই এই সকল জ্বরের ঔষধ খান এবং জ্বর যখন একা একা ভালো হয়ে যায়। তখন হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে তাদের ব্লাড প্রেসার লো হয়ে যায়। অথবা পেশার নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় হঠাৎ করে নেমে যেতে থাকে। তার সাথে শরীর দুর্বল লাগবে এবং সব সময় বমি বমি ভাব থাকবে তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে কোন কারণবশত আপনার ভাইরাস জ্বর হয়েছিল।

তাছাড়া এখন প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে ঔষধ পানিও উন্নতি হওয়ার ফলে। ভাইরাস জ্বর নিয়ে তেমন কোন মানুষ আর তেমনভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন না। এই জ্বরটি আসার পূর্বেই সাধারণ কিছু চেকআপের মাধ্যমে ধরে ফেলা যায় ফলে এই জ্বরটি বেড়ে ওঠার আগে সেটিকে নির্বিশেষ করে ফেলা যায়। এবং আপনার যদি হঠাৎ করে এমন অতিরিক্ত জ্বর হয় তখন আপনি সাথে সাথে আপনার পাশে কোন ক্লিনিক অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিন এবং সঠিক ঔষধ খান।

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো জানার আগে আপনার জেনে রাখা উচিত। ভাইরাস জ্বর সম্পর্কে তবেই আপনার ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার লক্ষণগুলো বুঝতে সুবিধা হবে। ভাইরাস জ্বর আসলে একটি মৌসুমী জ্বর। এটি সিট থেকে গরম এবং গরম থেকে শীত এবং বর্ষাকালে দেখা যায়। এবং এই যে বর্ষাকালের মউসুটি চলছে। এই মৌসুমটিতে ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায়।

এবং এই ভাইরাস জ্বর টির যেকোনো বয়সের লোকের হতে পারে। সেটি কম বয়সের মধ্যবয়স্ক এবং সমবয়সী লোকদের হতে পারে। কম বয়সী লোকের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় ভাইরাস জ্বর হলে ঔষধ না খেলেও জ্বরটি কমে যায়। কিন্তু বৃদ্ধ লোকদের বেলায় দেখা গেছে যে এ জ্বর টি একবার হলে সেটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে সেই লোকটিকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।

এবং এই ভাইরাস জ্বরটি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমে আমি যে কারণটিকে রাখবো সেটি হল ডেঙ্গু। এই ডেঙ্গুর কারণে দেখা গেছে যে সত্তর শতাংশ মানুষের প্রায়শই ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে। এবং ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে দ্বিতীয় যে ব্যাখ্যাটি রাখবো সেটি হচ্ছে একজনের ভাইরাস জ্বর হয়েছে এবং তার সংস্পর্শে অন্য একজন ব্যক্তি যখন আসে। তখন যে ভাইরাস জ্বর টি তার শরীরে প্রবেশ করে।

এবং ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার ভাইরাস জ্বর হওয়ার আগে একটি কারণ রয়েছে সেটি হল দূষিত পানি ও জল পান করা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে খোলা অবস্থায় থাকা পানি খেয়ে ৯০% মানুষের ভাইরাস জ্বর হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি দূষিত পানি পান করা থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও দূষিত খাবার খেলে যে ভাইরাস জ্বর হবে না তার কোন মানে নেই দূষিত কোন ধরনের কিছু খেলেই আপনার ভাইরাস জ্বর হবার সম্ভাবনা 70.9%। তাই আপনি দূষিত খাবার এবং দূষিত পানি থেকে দূরে থাকুন।

ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার

এখন আমরা কথা বলব ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার নিয়ে।ভাইরাস জ্বর আসলে কতদিন থাকে ভাইরাস জ্বর আসলে কি কারনে আসে। সেগুলো নিয়ে আমরা উপরে আলোচনা করেছি আশা করি আপনি উপরের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে নিয়েছেন। চলুন এখন আমরা জানি ভাইরাস জ্বরের প্রতিকার গুলো নিয়ে।

প্রথমেই কথা বলব ভাইরাস জ্বর আসলে আপনি কি কি খাবেন না। ভাইরাস জ্বর আসলে ঠান্ডা জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন ধরুন আইসক্রিম ঠান্ডা পানি পেপসি ইত্যাদি কখনোই খাওয়া চলবে না। যদি আপনি খাবার রুটিন গুলো মেইনটেইন করে চলতে পারেন। তাহলে আপনার ভাইরাস জ্বর খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

এবং দ্বিতীয় যেটি রয়েছে সেটি হল তেল জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এই যেমন ধরুন ভাজাপোড়া এগুলো থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে। এবং তার সাথে যদি আপনার গলা ব্যথা হয় তাহলে গরম পানিতে লবণ মিশে দিনে দুই থেকে তিনবার কুলি করে ফেলুন। এবং ভাইরাস জ্বর হলে শরীরে পানির ঘাটতিটা একটু বেশি হয়।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে নরম জাতীয় খাবার এবং লবণ মিশিয়ে গরম পানি খেতে হবে। এছাড়াও তার সাথে আপনি জুস খেতে পারেন কিন্তু সেটা কোন কারখানাতে তৈরি নয়। আপনি খেতে পারবেন ফলের রসগুলো। এই যেমন ধরুন ডাবের জল এবং অন্যান্য ফল জাতীয় রসগুলো। এগুলো খেলে আপনার শরীরে পানির ঘাটতিটা কমে যাবে।

এবং ভাইরাস জ্বর হওয়ার পরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। সেটি হল সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাথরুম থেকে বের হবার পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। খেতে বসার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। এবং সব সময় ফুটানো পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে। ফলে আপনার ভাইরাস জ্বর কমার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে এই সকল দিকগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনার ভাইরাস জ্বর অতি দ্রুত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ঔষধ খেতে হবে। ফলে আপনি অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আশা করছি আপনি আমার কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বার বার জ্বর আসার কারণ

এখন আমরা কথা বলব যে বার বার জ্বর আসার কারণ টা আসলে কি। অনেক মানুষই নানা রকম ধরনের রোগে ভুগেন কিছু কিছু লোকের এই যেমন ধরুন বুকে পানি জমে থাকে কিন্তু সেটা তিনি নিজে জানে না। ফুসফুসে পানি জমে থাকার কারণে খুব ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তারপরে তার মনে করেন যে নার্স ক্যান্সার হয়েছে কিন্তু সেটা তিনি জানেন না সে কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

তারপর আপনার সামান্য নিউমোনিয়ার কারণে খুব ঘনঘন বারবার জ্বর আসতে পারে। এ কারণে অল্প একটু যদি আপনার নিউমোনিয়া থেকে থাকে তাহলে সেটার অবশ্যই এখনই চিকিৎসা করে ফেলুন। এবং আপনার যদি টমেটো ইনজুরি থাকে নার্ভস এর ভিতর তাহলে আপনার খুব ঘন ঘন বার বার জ্বর আসতে পারে। এবং সেখানে যদি সুপার ব্যাকটেরিয়া জমা হয় তাহলে খুব ঘন ঘন জ্বর আসবে।

এ ছাড়াও আপনার যদি এসপানস জেলাসিস থাকে তাহলে মনে করেন খুব ঘন ঘন বারবার জ্বর আসবে। আপনার যখনই বারবার ঘন ঘন জ্বর আসা শুরু করবে তখনই আপনার যেকোন একটি ডাক্তারের কাছে গিয়ে সুপরামর্শ নিতে হবে এবং চেকআপ করে নিতে হবে। আসলে আপনার জ্বর আসার বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে। সেটির আসলে কোন সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।

তবে আমি যে কারণগুলো বললাম এই কারণগুলো আসলে ৭০ শতাংশ মানুষের ভিতরে দেখা যায়। তাই অবশ্যই যদি আপনার ঘন ঘন জ্বর আসে। বারবার জ্বর আসার কারণ আপনি খুজে না পান তাহলে অবশ্যই একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করে নিবেন। এবং আপনার জ্বর আসার সঠিক কারণটি সেখান থেকে জেনে নিবেন। আশা করছি আমার কথাগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ভাইরাস জ্বরের ঔষধ কখন কি করে খাবেন বিস্তারিত জানুন

ভাইরাস জ্বরের ঔষধ ভাইরাস জ্বরের  প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন জ্বর আসা। ভাইরাস জ্বর আসলে বেশ কিছুদিন না থাকলেও একবার ভাইরাস জ্বর হলে সেই জ্বর ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রী  পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাইরাস জ্বর ভালো করার জন্য অনেক ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। আসলে সাধারণত ভাইরাস জ্বর হলে ৫০০ মিলিগ্রামের দুইটি প্যারাসিটামল বডি দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সেবন করলে ভাইরাস জ্বর ঠিক হয়ে যায়।
ভাইরাস জ্বরের ঔষধ কখন কি করে খাবেন বিস্তারিত জানুন
তবে অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল সেবার না করাটাই নিরাপদ। কারণ এই ওষুধে যেমন রয়েছে উপকারিতা তেমনি রয়েছে অপকারিতা। এই ঔষধ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হজমের সমস্যা বিপাক হার কমে যায় লিভার ও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি এই ঔষধ সেবন করেন তাহলে অবশ্যই নিয়মের ভেতরে খাবেন।

আমাদের একটি সাধারন সমস্যা হলো যে জ্বর হলে আমরা ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেয়। এবং আমরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে সাধারণ দোকানদারের কাছে থেকে ঔষধ নিয়ে তার কাছ থেকে জেনে নিই তা কখন কিভাবে খেতে হবে। তাই আপনি সবসময় একটি কথা মাথায় রাখবেন যে ওষুধ কেনার সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

কারণ ঔষধ বিক্রেতা তো আর ডাক্তার নয়। আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ঔষধ সেবন করে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের পক্ষে সেটা ভালো হবে না। ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে তাই অবশ্যই যদি আপনি ভাইরাস জ্বর কিংবা অন্যান্য কোন অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে তা অবশ্যই একটি অভিজ্ঞ ডাক্তার কে বলে তার কাছ থেকে সু পরামর্শ নিয়ে আপনি ওষুধ খাবেন। আশা করি আমার কথাগুলো আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শিশুর ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ

শিশুর ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন যে আপনার শিশুর ভাইরাস জ্বর হয়েছে বা ভাইরাস জ্বর আক্রান্ত হতে চলেছে। সেটি বোঝার জন্য কয়েকটি সহজ মাধ্যম রয়েছে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভাইরাস জ্বর হবার আগে সর্দি কাশি এবং নিউমোনিয়ার মত কিছু সহজ রোগ দেখা দেয়। ফলে এগুলো যদি আপনি আপনার শিশুর ভেতরে লক্ষ্য করেন তাহলে আগে থেকে সতর্ক হয়ে যাবেন।

 বেশিরভাগ বাচ্চারা খেলাধুলার মাধ্যমে নোংরা ময়লা এবং নোংরা পানি লাগার কারণে। এই সকল ভাইরাস জ্বর এসে থাকে। এবং এই ভাইরাস জ্বরটি এমনভাবে কাজ করে কারো শরীরে যদি ভাইরাস জ্বর থাকে এবং তার কাছে যদি আপনার শিশু বসে বা কোলে নেয়। তাহলে হাসিখাসীর মাধ্যমে সেই ভাইরাস জ্বর আপনার শিশুর ভেতরে প্রবেশ করবে।

তাই এই সকল জিনিসগুলো লক্ষ্য করার সাথে সাথে আপনি আগে থেকে সতর্ক হয়ে যাবেন যে আপনার বাচ্চার ভাইরাস জ্বর হতে চলেছে। এবং যদি ভাইরাস জ্বর হয়ে যায় তাহলে আপনি অভিজ্ঞ কোন ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ান। আশা করছি আমার কথাগুলো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি করণীয় 

টাইফয়েড জ্বর এমন একটি জ্বর যেটি একবার হলে জ্বরের মাত্রা থাকে 104 থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত। টাইফয়েড জ্বরের অন্যতম উৎস হচ্ছে উচ্চমাত্রার জ্বর। এছাড়া প্রচন্ড মাথাব্যথা এবং পেট ব্যথা এবং বমি বমি ভাব সব সময় হয়। এবং এর সাথে রয়েছে আমার ডায়রিয়া। সব রকম রোগের মাত্রা নিয়ে এই টাইফয়েড জ্বর টি হয়ে থাকে এই জ্বরের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া একটু কষ্টকর।

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে টাইফয়েডে আক্রান্ত অনেক রোগীর দেহে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। যার কারণে অনেক পেশেন্ট অকালে মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্কার হিসেবে অনুযায়ী প্রতি বছর এক লাখ দশ হাজার মানুষ বিশ্বজুড়ে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এবং এছাড়াও প্রতিদিনে আক্রান্ত হয় 90 লাখের বেশি মানুষ। এই সকল টাইপের জ্বর এড়িয়ে চলতে আপনাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

এবং অল্প থেকে যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার শরীরের জ্বর আসছে। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোন ক্লিনিকে গিয়ে যোগাযোগ করুন এবং সঠিক ঔষধ খান। কারণ টাইফয়েড জনিত জ্বর শরীরে রক্তের চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এবং সবসময় মাথা ঘোরা সমস্যাটা থেকে যাবে। তাই অবশ্যই অল্পতেই চিকিৎসা নিবেন আশা করি আমার কথাগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন

ভাইরাস জ্বরের মোকাবেলা করতে পুষ্টিকর খাবার রোজ রোজ গ্রহণ করা উচিত। ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করে এবং এমন পোষ্টটি আর খাবার যদি ঘনঘন খাওয়া যায় তাহলে ভাইরাসজনিত জ্বরের থেকে এবং বড় কোন সমস্যার থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে। তাই আপনাকে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া উচত।

আশা করি আপনি আমার কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে পূর্বে থেকে আপনি সতর্ক হয়ে যান। এবং ভাইরাস জ্বর হওয়ার লক্ষণ গুলি দেখা দেওয়ার সাথে সাথে সুচিকিৎসা নিয়েন। এবং আশেপাশে ক্লিনিক গুলিতে গিয়ে নিজের চেকআপ করে ঔষধ নিন।

ভাইরাস জ্বরের সাধারণ সময়সীমা

ভাইরাসের জনিত জ্বর সাধারণত তিন থেকে সাত দিন থাকতে পারে। তবে ভাইরাস জনিত জ্বরের কোন সাধারণ সময় নেই। ভাইরাস জ্বর  এর কিছু সাধারন রোগ সম্পর্কে ধারণা নিচে লিখে দিলাম যেমনঃ
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা 
  • ডেঙ্গু
  • চিকনগুনিয়া
  • রোটা ভাইরাস বা নোর ভাইরাস
প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের তীব্রতা অনুযায়ী জ্বরের সময়সীমা হার্ট বৃদ্ধি পেতে থাকে। আপনার যদি ভাইরাস জ্বর এসে থাকে তাহলে আপনি এই সকল লক্ষণগুলো আপনার শরীরে দেখতে পাবেন। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর জ্বর ৭ দিন বা তার বেশি স্থায়ী তা হতে পারে। আপনার যদি সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কোন একটি হসপিটাল বা ক্লিনিকে যোগাযোগ করুন আশা করি আমার কথাগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

যদি ভাইরাস জনিত জ্বর আপনার সাত দিনের বেশি থাকে তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে আপনাকে আপনার শরীরে যে সকল সমস্যাগুলো লক্ষ্য করতে হবে। তা আমি নিচে উদাহরণ দিয়ে দিলাম।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

  • শ্বাসকষ্ট
  • অত্যধিক দুর্বলতা বা ক্লান্তি
  • বুকে ব্যথা
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • বমি বা ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া
  • শরীরের রেস্ট বা রক্তক্ষরণের লক্ষণ

আমার শেষ কথা

ভাইরাস জ্বর কত দিন থাকে  সেই সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করতে চেষ্টা করেছি। পুরো পোষ্টের ভিতরে যদি আমার কোন জায়গায় ভুল বা ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্য আমার কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন। এবং নিত্যনতুন পোস্টের নোটিফিকেশন সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নোটিফিকেশন বেল বাটন টি অন করে দিবেন। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

TCEH BD 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url